সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুর গণ শ্লীলতাহানির ঘটনায় শোরগোল গোটা দেশে। ঠিক এই সময়ই সামনে এল এক তরুণীর শ্লীলতাহানির সিসিটিভি ফুটেজ। নিউ ইয়ার ইভেই ঘটেছিল এই ঘটনা।
সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ী, ঘটনা গত রবিবার রাত আড়াইটের। ওই তরুণী যখন রাস্তা ধরে হাঁটছিলেন, তখন বাইকে করে এসে কয়েকজন যুবক তাঁর পথ আটকায়। একজন বাইক থেকে নেমে তাঁকে জড়িয়ে ধরে। শ্লীলতাহানি করতে থাকে তাঁর। তরুণী বাধা দিতে গেলে ওই যুবক জোর করে তাঁকে অন্য যুবকের কাছে নিয়ে যায়। সেখানেও শ্লীলতাহানি করা হয়। যে রাস্তায় এই ঘটনা ঘটেছে সেটি জনবসতিপূর্ণ। রাস্তার ওপ্রান্তে সেই সময় বেশ কিছু লোকের আনাগোনা ছিল। কিন্তু কেউই সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। যে বাড়ির সামনে ঘটনাটি ঘটে সেটির সিসিটিভি ফুটেজেই ধরা ছিল দৃশ্য। পরে ওই তরুণী ফুটেজটি চান। সেইমতো তা দিয়ে দেন বাড়ির মালিক। এরপরই ওই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে নিউ ইয়ার ইভে গণ শ্লীলতাহানির ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর চলছেই। কর্নাটকের মন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এ ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে। একধাপ এগিয়ে সপা নেতা আবু আজমির বক্তব্য, মহিলাদের পোশাকই এ ঘটনার জন্য দায়ী। পশ্চিমী সংস্কৃতির অনুকরণে মহিলারা ছোট ছোট পোশাক পরছেন, আর তাই শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটছে। তাঁর আরও মত, দিনকাল যখন খারাপ, তখন কোনও মহিলার একা বেরনো উচিত নয়।
আজমির এ কথায় নিন্দার ঝড় ওঠে চতুর্দিকে। আজমি ও কর্নাটকের মন্ত্রীর নামে সমন জারি করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন। গণ শ্লীলতাহানি ও তারপর রাজনৈতিক নেতাদের মন্তব্যে এমনিতেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে বেঙ্গালুরু। এই সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসায় তা আরও বাড়ল, বসতিপূর্ণ পাড়ার মধ্যেও যদি মহিলারা নিরাপদ না হন, তাহলে আর কোথায়- এ প্রশ্নই এখন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
গণ শ্লীলতাহানির ঘটনায় কোনও মহিলাই অবশ্য পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে চাননি। ফলে প্রাথমিক পদক্ষেপ নিতে সমস্যা হয়েছে পুলিশের। যদিও বেঙ্গালুরু পুলিশ কমিশনার প্রবীণ সুদ জানিয়েছেন, গণ শ্লীলতাহানির যথেষ্ট প্রমাণ আছে তাঁদের হাতে। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত শুরুও করে দিয়েছে। এই কাণ্ডে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.