সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন জীবন দান করায় ডাক্তারদের ঈশ্বরের আসনে বসান রোগীরা। কিন্তু সেই রক্ষকই হয়ে উঠলেন ভক্ষক। চিকিৎসক এবং একাধিক কম্পাউন্ডারের বিরুদ্ধে উঠল গণধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ। নির্যাতিতার দেহ মিলল অ্যাম্বুল্যান্সে।
ঘটনা বিহারের পূর্ব চম্পারন জেলার। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মোতিহারির এক নার্সিংহোমের কর্মী ছিলেন বছর তিরিশের মৃতা যুবতী। আগেই হারিয়েছিলেন স্বামীকে। চার বছরের সন্তান তাঁর। স্বামীকে হারানোর পর মায়ের সঙ্গেই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন নির্যাতিতা। যুবতী যাতে সংসারের জন্য উপার্জন করতে পারেন, তার জন্য তাঁকে নার্সিংহোমে চাকরির ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন ডা. জয়প্রকাশ দাস এবং মনোতোষ কুমার। স্বামীহারা যুবতীরও সে সময় কাজের প্রয়োজন ছিল। তাই চাকরিতে যোগ দিতে দেরি করেননি।
কিন্তু ক’দিনের মধ্যেই মোহভঙ্গ হয়। যুবতী তাঁর মা’কে জানিয়েছিলেন, নার্সিংহোমের ডাক্তার এবং কম্পাউন্ডারদের অভব্য আচরণে তিনি বিরক্ত। তাই তিনি আর কাজে ফিরতে চাননি। এই ঘটনার ক’দিন পরই বিধবা যুবতীর বাড়ি এসে ক্ষমা চান ওই ডাক্তার ও হাসপাতাল কর্মীরা। তাঁকে কাজে যোগ দিতে অনুরোধও জানান। কিন্তু কে জানত ঠিক কী উদ্দেশ্যে তাঁকে কাজে ফিরতে বলা হয়েছিল! মৃতার মা জানাচ্ছেন, গত ৮ আগস্ট নার্সিংহোমে গিয়ে আর ফেরেননি মেয়ে।
নির্যাতিতার মাকে ফোন করে মনোতোষ জানান, তাঁর মেয়ে অসুস্থ। হাসপাতালে ভরতি। কিন্তু যে ঠিকানা বলা হয়েছিল, সেখানে গিয়ে মেয়েকে খুঁজে পাননি তিনি। শেষমেশ একটি অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতর মেলে মেয়ের দেহ। মৃতার মায়ের অভিযোগ, ডাক্তার দাস এবং কম্পাউন্ডার মিলে তাঁর মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুন করেছেন। অভিযুক্ত চিকিৎসক এবং পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। একজন কম্পাউন্ডারকে গ্রেপ্তার করলেও বাকিরা এখনও পলাতক। তবে দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানিয়েছে বিহার পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.