ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের মধ্যে ভুলিয়ে ভালিয়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ। শিক্ষকদের অত্যাচারে ওই ছাত্রী অন্ত্বঃসত্তা হয়ে পড়া। এই ঘটনার ২ বছর পর অবশেষে সুবিচার পেল ওই ছাত্রী। মঙ্গলবার বিহারের (Bihar) এক আদালত বিহারের ওই স্কুলের অধ্যক্ষের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সঙ্গে মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করেছে আদালত।
২০১৮ সালের ঘটনা। অভিযুক্ত শিক্ষক অভিষেক কুমার ছাত্রীটিকে স্কুলের প্রিন্সিপালের কাছে পাঠায়। বলেন, প্রিন্সিপাল অরবিন্দ কুমার তার খাতা পরীক্ষা করছে। প্রিন্সিপালের ঘরে গেলে মেয়েটির উপর পাশবিক অত্যাচার চালায় ওই অধ্যক্ষ। একবার নয়, ৬ মাসে ছয় বার ধর্ষণ করা হয় ওই ছাত্রীকে। ছ’মাস পর মেয়েটি বমি করতে শুরু করে। তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে যৌন অত্যাচারের বিষয়টি স্পষ্ট হয়। জানা যায় ওই ছাত্রী অন্ত্বঃসত্তা হয়ে পড়েছে। শেষ অবধি আদালতের অনুমতি নিয়ে মেয়েটির গর্ভপাত করা হয়।
অবশেষে এদিন আদালত অভিযুক্ত দুজনের শাস্তি ঘোষণা করল। এদিন অতিরিক্ত জেলা জজ আওধেশ কুমার জানান, “মামলার গতিপ্রকিৃতি ও অপরাধের গভীরতা দেখে মৃত্যুদণ্ড ছাড়া কোনও শাস্তি দেওয়া যায় না।” এদিন আদালত অভিযুক্ত প্রিন্সিপালের মৃত্যুদণ্ড এবং ১ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষক অভিষেক কুমারের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। এই জরিমানার টাকা সরাসরিপাবে নির্যাতিতা নাবালিকার পরিবার।
নির্যাতিতার বাবা পে্শায় দিনমজুর। তাঁরা ২০১৮ সালে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছিল। অভিযোগ পাওয়ার পরই দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২ বছর পর অবশেষে শাস্তি পেল অভিযুক্তরা। পরিবারকে মোট ১৫ লক্ষ টাকা জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.