সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়া না করলে শিক্ষকের কাছে কখনও ধমক তো কখনও বেতের বাড়ি খেতেই হয়। এদেশে এমন দৃশ্য বেশ স্বাভাবিক। কিন্তু শিক্ষকের অমানবিক রূপের সাক্ষী থাকল বিহার। বেধড়ক মারধরের জেরে জ্ঞানই হারাল ছাত্র! যে ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল (Virat Video) হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
ঘটনা পাটনার ধনরুয়া ব্লকের। মাত্র পাঁচ বছরের পড়ুয়াকে যে এভাবে মারতে পারেন খোদ শিক্ষক, তা যেন বিশ্বাস করাই কঠিন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, প্রথমে একটি বেত দিয়ে তাকে মারছে এক শিক্ষক। যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে চিৎকার করে কাঁদছে বাচ্চাটি। কিন্তু তাতেও থামেনি ওই শিক্ষক। মারের চোটে বেতটি একেবারে দু’টুকরো হয়ে যায়! তখনও থামানো যায়নি শিক্ষককে। হাতের বেত ফেলে দিয়ে এরপর চড়-থাপ্পড়-ঘুসি কষাতে শুরু করে ওই ‘নির্দয়’ শিক্ষক। এমনকী চুলে মুঠি ধরেও মারা হয় শিশুটিকে।
শিক্ষকের মার সহ্য করতে না পেরে তাঁর পায়ে পড়ে যায় বাচ্চাটি। কাঁদতে কাঁদতে কাকতি-মিনতি করতে থাকে যাতে শিক্ষক আর না মারেন। কিন্তু সেসব কানে তোলেনি ‘গুণধর’ শিক্ষক। শেষমেশ বেধড়ক মার খেয়ে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে বাচ্চাটি। সহপাঠীকে মার খেতে দেখে অন্য বাচ্চাদেরও ভয়ে সিঁটিয়ে যেতে দেখা যায়।
জানা গিয়েছে, একটি কোচিং ক্লাসে এমন নির্মম ঘটনা ঘটেছে। বাচ্চাটি জ্ঞান হারানোর খবর পেতেই স্থানীয়রা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। বাচ্চার অবস্থা দেখে রীতিমতো শিউরে ওঠেন চিকিৎসকরাও। স্থানীয়রা বাকি বাচ্চাদের থেকে এরপর জানতে পারেন ওই শিক্ষকের কুকীর্তির কথা। ছোটু নামের ওই শিক্ষককে খুঁজে বের করে এবার তাঁর উপরই চড়াও হন সাধারণ মানুষ। ওই কোচিং সেন্টারের মালিক অমরকান্ত কুমার জানান, ছোটু উচ্চ রক্তচাপের রোগী। সেই কারণেই রাগের মাথায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বলা হয়েছে, অভিযুক্তর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিক্ষকের পরিচয় তাঁর আচরণ, শান্ত স্বভাবের মধ্যে দিয়ে ফুটে ওঠে। কিন্তু এহেন অমানবিকতা দেখে বিস্মিত নেটদুনিয়াও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.