ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সামনেই নির্বাচন। আর তার ঠিক আগেই মহারাষ্ট্রের জলগাঁওতে খুন হয়ে গেলেন বিজেপির স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি। রবিবার রাতে রবীন্দ্র খারাট নামে ওই জনপ্রতিনিধিকে বাড়িতে ঢুকে গুলি করে দুষ্কৃতীরা। গুলিতে নিহত হয়েছেন তাঁর পরিবারের আরও চারজন।
জলগাঁওয়ের একটি আবাসনে থাকেন বছর পঞ্চান্নর রবীন্দ্র খারাট। তিনি স্থানীয় স্তরের জনপ্রতিনিধি। রবিবার রাতে আচমকাই একদল দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে হানা দেয়। দেশী পিস্তল থেকে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকে। গুলিবিদ্ধ হন রবীন্দ্র খারাট, তাঁর ভাই সুনীল, দুই ছেলে প্রেমসাগর, রোহিত। তাঁদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। সেখানেই শরীর থেকে গুলি বের করার সময় তাঁরা মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়েন। রবীন্দ্র এবং তাঁর ছেলে, ভাইয়ের পাশাপাশি দুষ্কৃতীদের গুলিতে বাড়ির আরেক সদস্যেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিকের কথায়, ‘বন্দুকবাজরা দেশি পিস্তল এবং ছুরি নিয়ে রবীন্দ্র খারাটের বাড়িতে ঢোকে। একসঙ্গে চারজনকে গুলি করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরে অবশ্য তারা এসে থানায় আত্মসমর্পণ করে। উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রও। এর পিছনে মোটিভ কী, সেটাই আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’
আগামী ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রে নির্বাচন। তার ঠিক আগেই এমন একটি ঘটনায় রীতিমতো ভয়ের বাতাবরণ রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠছে প্রার্থীদের নিরাপত্তার নিয়েও। প্রাক নির্বাচনী সমস্ত সমীক্ষাতেই ইঙ্গিত, মহারাষ্ট্রের বিধানসভা বিজেপির দখলেই যেতে বসেছে। প্রায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতাতেই ফের ক্ষমতায় আসতে চলেছে ফড়ণবীশ সরকার। বিরোধীরা একেবারেই নড়বড়ে। কিন্তু তারই মধ্যে এক বিজেপি জনপ্রতিনিধির এভাবে খুন হয়ে যাওয়ায় আচমকাই যেন থমথমে পরিস্থিতি। খানিক স্তব্ধ ক্ষমতাসীন দলের সদস্যরাও। রবীন্দ্র খারাট ও তার পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.