বিজেপি নেতা গুলফাম সিং যাদব।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের উত্তরপ্রদেশে খুনে রাজনীতি! বিষ ইঞ্জেকশন প্রয়োগে হত্যা করা হল দাপুটে বিজেপি নেতা গুলফাম সিং যাদবকে। গত সোমবার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে সম্ভলে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তিন অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী গুলফামের উপর হামলা চালায় এবং তাঁর শরীরে বিষ ইঞ্জেকশন ফুটিয়ে তাঁকে হত্যা করে।
৬৬ বছর বয়সি গুলফাম উত্তরপ্রদেশ বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা সম্ভলে বিজেপির পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের পূর্বাঞ্চচলের সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০০৪ সালে তৎকালীন সপা প্রধান মুলায়ম সিং যাদবের বিরুদ্ধে গুন্নর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরপর থেকে গত ২১ বছরে দলের নানান গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্বভার সামলেছেন গুলফাম। তাঁর মৃত্যুতে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের তরফ জানা যাচ্ছে, সোমবার সম্ভলের দফতরা গ্রামে নিজের বাড়িতেই ছিলেন গুলফাম। দুপুরের দিকে বাইকে করে সেখানে উপস্থিত হয় তিন যুবক। গুলফামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর সঙ্গে গল্প করেন তাঁরা। এরপর তাঁদের মধ্যে একজন বিজেপি নেতার কাছে জল খেতে চান। জল খাইয়ে ঘরে ঢোকার সময় তাঁদের মধ্যে একজন গুলফামের পেটে বিষাক্ত ইঞ্জেকশন ফুটিয়ে দ্রুত সেখান থেকে চম্পট দেন। এই ঘটনার কিছুক্ষণ পরই বিজেপি নেতার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। পরিবারের লোকজন দ্রুত তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হতে শুরু করলে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আলিগড় মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় তাঁর।
এই হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসার পর গুলফামের বাড়িতে উপস্থিত হয় পুলিশ। খোদ পুলিশ সুপার কৃষ্ণ কুমার বিষ্ণোই, এএসপি অনুকৃতি শর্মা-সহ আরও পুলিশ আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছন। হত্যাস্থল থেকে একটি হেলমেট, ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ উদ্ধার হয়েছে। যা পাঠানো হয়েছে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য। পাশাপাশি সিসিটিভি খতিয়ে দেখে তিন হত্যাকারীর পরিচয় জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, হয়ত রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই এই হত্যাকাণ্ড।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.