সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইয়েমেনে এক ব্যক্তিকে খুনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত কেরলের এক নার্স। তাঁর পরিত্রাণের একমাত্র উপায় ‘ব্লাড মানি’। অর্থাৎ ইয়েমেনের আইন অনুযায়ী, আক্রান্তের পরিবারকে অর্থ দিয়ে মুক্ত হওয়া। কিন্তু তা এই মুহূর্তে সম্ভব হচ্ছে না। কেননা ২০১৬ সাল থেকে ভারতীয়দের ইয়েমেনে যাওয়া নিষিদ্ধ। এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত নার্সের আইনজীবী দিল্লি আদালতে আবেদন জানালেন তরুণীর মাকে ইয়েমেনে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য।
অভিযুক্ত তরুণীর নাম নিমিশা প্রিয়া। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ইয়েমেনের (Yemen) এক নাগরিককে খুন করার। মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত তরুণীর প্রাণভিক্ষার আর্জি প্রত্যাখ্যান করেছে সেদেশের শীর্ষ আদালত। এই পরিস্থিতিতে তাঁর আইনজীবী সুভাষ চন্দ্রণ জানাচ্ছেন, ‘ব্লাডমানি’ই এখন একমাত্র উপায়। কিন্তু আক্রান্তের পরিবারের সঙ্গে সরাসরি দরাদরি করা সম্ভব হবে না, যদি না নিমিশার মা ইয়েমেনে পৌঁছতে পারেন। বিষয়টা মোটেই সহজ নয়। সুভাষের কথায়, ”২০১৬ সাল থেকে ভারত সরকারের অনুমতি না নিয়ে ভারতীয় নাগরিকদের ইয়েমেনে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।” শেষপর্যন্ত কেন্দ্র ওই মহিলাকে ইয়েমেনে যাওয়ার অনুমতি দেয় কিনা সেদিকে তাকিয়ে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে ইয়েমেনে অভ্যন্তরীণ সংঘাত শুরু হয়। সেই সময় নিমিশার স্বামী ও তাঁর সন্তানরা ভারতে ফিরে গেলেও নিমিশার ফেরা হয়নি। তাঁর স্পনসরের কাছে ছিল তাঁর পাসপোর্ট। তিনি কিছুতেই তা ফেরত দেননি। আটকে রেখেছিলেন। শেষপর্যন্ত মরিয়া হয়ে ওই ব্যক্তিকে অচেতন করার লক্ষ্যে ইনজেকশন দেন নিমিশা। আর তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.