সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়েছে বদলাপুরে দুই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনে অভিযুক্ত অক্ষয় শিণ্ডের। ছেলেকে খুন করেছে পুলিশ, অভিযোগ করেন অক্ষয়ের মা। এবার ওই মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন তুলল খোদ বম্বে হাই কোর্ট। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বিচারপতি রেবতী মোহিতে ডেরে এবং বিচারপতি পৃথ্বীরাজ চহ্বণের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতিদের প্রশ্ন, “প্রিজ়ন ভ্যানে চার জন পুলিশকর্মী ছিলেন। তাঁরা অভিযুক্তকে কাবু করতে পারলেন না? অভিযুক্ত এত শক্তিশালী ছিলেন?”
পুলিশ জানিয়েছিল, প্রিজন ভ্যানের মধ্যে অক্ষয় এক পুলিশকর্মীর পিস্তল ছিনিয়ে নিয়ে গুলি চালান। পালটা গুলিতে গুরুতর জখম হন অভিযুক্ত। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। এই ঘটনায় এক পুলিশকর্মীও আহত হয়েছেন। পুলিশের এই বক্তব্য শুনে বিচারপতিদের বেঞ্চ মন্তব্য করে, পিস্তলের স্লাইডার টানার জন্য যথেষ্ট শক্তির প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ ছাড়া পিস্তল চালানো কঠিন। “আপনারা বলছেন, অভিযুক্ত তিনটি গুলি ছুড়েছেন। দেখা যাচ্ছে তাতে এক জন পুলিশকর্মীই আহত হয়েছেন!” পুলিশের এই বক্তব্য বিশ্বাস করা কঠিন, মন্তব্য করে আদালত।
বিচারপতিরা কার্যত প্রশ্ন তোলেন, অভিযুক্তকে নিরস্ত্র করতে হাঁটুর নিচে গুলি চালানো হল না কেন। রাজ্যের আইনজীবী যুক্তি দেন, সেই সময় এত কিছু ভাবার সময় ছিল না। যদিও আদালত বিশ্বাস করতে চায়নি পুলিশের ‘কাহিনী’। চারজন সসস্ত্র পুলিশ কীভাবে একজন অভিযুক্তকে কাবু করতে পারল না! তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতিরা। এর পরই আদালত জানায়, এই ঘটনাকে কখনওই এনকাউন্টার বলা যাবে না।
বদলাপুর কাণ্ডে অভিযুক্তের এনকাউন্টার নিয়ে বিরোধীরা প্রশ্ন তুলেছিল। তাদের দাবি করে, এটা ভুয়ো এনকাউন্টার। এর পরেই অভিযুক্ত অক্ষয় শিণ্ডের পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি খুনের অভিযোগ করেন। এই নিয়ে হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন মৃতের বাবা। সেই মামলাতেই পুলিশকে ভর্ৎসনা করল আদালত। এই ঘটনা নতুন মাত্রা দিল বদলাপুর কাণ্ডে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.