Advertisement
Advertisement
Operation Sindoor

‘যেন ভূমিকম্পে কাঁপছিল মাটি’, ভারতের হামলার পর যুদ্ধের আতঙ্কে কাঁটা পাক সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি

ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কিছুতেই ভুলতে পারছে না পাক সীমানা সংলগ্ন রাজস্থানের তিনটি গ্রাম খাজুওয়ালা, রাওওয়ালা এবং ঘাডিসানা।

Border villagers recall strikes on Pak terror camps, fear war

ছবি: রয়টার্স।

Published by: Subhodeep Mullick
  • Posted:May 7, 2025 8:09 pm
  • Updated:May 7, 2025 8:16 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘড়ির কাঁটা তখন ১টা ছুঁই ছুঁই। চারদিক নিস্তব্ধ। গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন সীমান্তবর্তী গ্রামগুলি। রাতের শান্তি ভঙ্গ করে কান ফাটানো একটা আওয়াজ। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পর পর বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল মাটি। সীমানার ওপারে তখন ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযানে ভারতীয় সেনা। বারুদের গন্ধে ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। এদিকে গ্রামজুড়ে তখন বইছে আতঙ্কের স্রোত। মধ্য রাতের সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতা কিছুতেই ভুলতে পারছে না পাক সীমানা সংলগ্ন রাজস্থানের তিন গ্রাম খাজুওয়ালা, রাওওয়ালা এবং ঘাডিসানা।  

খাজুওয়ালা গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, “রাত ১টা নাগাদ আমরা বেশ কয়েকটি বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাই। তীব্র অতঙ্কে সবাই বাইরে বেরিয়ে আসি। মনে হচ্ছিল, আমাদের পায়ের তলার মাটি কাঁপছে। সকালে আমরা জানতে পারি, পহেলগাঁও হামলার বদলা নিয়েছে ভারতীয় সেনা। আমরা গর্বিত।” ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এক মহিলা কাঁপা কণ্ঠে বলেন, “পাকিস্তানকে যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন আমরা এই ভয়তে রয়েছি যে এরপর কী হবে! আমরা যুদ্ধ চাই না।”

Advertisement

একই ছবি দেখা গিয়েছে রাওওয়ালা এবং ঘাডিসানা গ্রামেও। ঘাডিসানা গ্রামের এক যুবকের কথায়, “বিস্ফোরণের কান ফাটানো শব্দে আমরা টিকতে পারছিলাম না। শীঘ্রই গোটা গ্রামের বাসিন্দারা এক জায়গায় জড়ো হয়ে গিয়েছিল। কেউই একা থাকতে চাইছিল না।”  

উল্লেখ্য, ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের পরেই সীমানার কাছাকাছি এলাকাগুলিতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। জানা গিয়েছে, রাজস্থানের বিকানির জেলায় বেশ কয়েকটি স্কুল সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর বদলা নিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরের ৯ জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র। এই হামলায় বাহওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদ, মুরাক্কায় লস্কর-ই-তৈবা ও হিজবুল মুজাহিদিনর সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। গোটা অপারেশনের নজরদারিতে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাতেই মন্ত্রকের তরফে হামলার বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরে ৯টি জায়গায় জঙ্গি পরিকাঠামো লক্ষ্য করে ‘প্রিসিশন স্ট্রাইক’ করা হয়েছে। যে সব জায়গায় বসে ভারতে সন্ত্রাসবাদী হানার পরিকল্পনা হয়েছিল এবং নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেখানেই ভারত আঘাত হেনেছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement