ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘গণপিটুনির সংস্কৃতি বিদেশ থেকে আমদানি হয়েছে। কিন্তু, একে ব্যবহার করে ভারত তথা হিন্দু সমাজের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে।’ মঙ্গলবার নাগপুরে বিজয়াদশমীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই অভিযোগই করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত।
মঙ্গলবার আরএসএসের সদর দপ্তরে আয়োজিত বার্ষিক অনুষ্ঠানে প্রথমে অস্ত্রপুজো করেন সংঘপ্রধান। তারপর বক্তব্য রাখতে গিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী শক্তি দেশে আগুন লাগাতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন মোহন ভাগবত। ভারতে অশান্তি সৃষ্টির জন্য একটি ধর্মের মানুষকে অন্য ধর্মের মানুষরা খেপিয়ে তোলে বলে দাবি করেন। ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা চলছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ একে অন্যকে আক্রমণ করছে। যদিও দেখা যাচ্ছে যে বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের মানুষকেই এই হিংসা সৃষ্টির জন্য দায়ী করা হচ্ছে। আদতে যা সত্যি নয়। সত্যি বলতে কী ভারতীয় সংস্কৃতিতে গণধোলাইয়ের কোনও স্থান নেই। পাশ্চাত্যের এই রোগ ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতিকে কলংকিত করার চেষ্টা করছে। যতই ভিন্ন মত থাক কিংবা যতই উসকানি দেওয়া হোক, সবাইকে গণতন্ত্রের সীমার মধ্যে থাকতে হবে। সংঘ পরিবার কোনওদিন এই ধরনের ঘটনা বা এর সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সমর্থন করে না। বরং বিরোধিতা করে। তারপরও এর সঙ্গে নাম জড়িয়ে ভারত ও এখানে বসবাসকারী হিন্দুদের বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
আরএসএসের এই অনুষ্ঠান থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন ভাগবত। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমস্যার সমাধান করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মানুষের চাহিদাগুলি অনুভব করতে পেরেছেন। তাই মানুষের অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে দেশের স্বার্থ রক্ষা করেছেন। মানুষ যে কারণে তাঁদের দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায় এনেছিলেন তা পূরণ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.