সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যজুড়ে পার্ক তৈরি করেছিলেন মায়াবতী। আর পার্কগুলিতে বসানো হয়েছিল বড় বড় হাতির মূর্তি। অভিযোগ উঠেছিল, মানুষের করের টাকা খরচ করে নিজের দলের প্রতীক তৈরি করছেন, নিজের দলের প্রচার করছেন বিএসপি নেত্রী। এই অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলাও হয়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট যে নির্দেশ দিল, তাতে বেশ বিপাকেই পড়তে চলেছেন বিএসপি নেত্রী।
২০০৭ থেকে ২০১২। মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন এই পাঁচ বছরে রাজ্য জুড়ে বহু কোটি টাকা খরচ করে একের পর এক পার্ক তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন মায়াবতী। লখনউ এবং নয়ডাতেই সব থেকে বেশি খরচ করা হয়েছিল পার্ক বানানোর পিছনে। প্রতিটি পার্কেই নিজের এবং নিজের দলীয় প্রতীক হাতির বিশাল মূর্তি বসানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন উত্তরপ্রদেশের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। ২০০৯ সালেই এই কাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হন বিরোধীরা। সোশ্যাল মিডিয়াতে হাসির খোরাকও হন মায়াবতী। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়। বাধ্য হয়ে হস্তক্ষেপ করতে হয় সর্বোচ্চ আদালতকে। সেসময় পার্ক তৈরিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে শীর্ষ আদালত। ততদিনে অবশ্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বহু পার্ক-এবং হাতির মূর্তি তৈরি হয়ে গিয়েছে।
হাতি তৈরিতে যাবতীয় যা খরচ হয়েছে এবার তা ফেরত দিতে হবে মায়াবতী। বিএসপি নেত্রীর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যে আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন,তাঁর দাবি ছিল সরকারি টাকা আসলে জনগণের, তাতে জনগণেরই প্রথম অধিকার। সেই টাকা নিজের মূর্তি, নিজের দলীয় প্রতীক এবং নিজের দলের কোনও কাজে ব্যবহার করা যায় না। এই মামলাটি এখন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, বিচারপতি দীপক গুপ্ত এবং বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে বিচারাধীন। মামলার শুনানির সময় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ জানান, প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ-জনগণের টাকায় নিজের এবং দলীয় প্রতীক তৈরি করা হলে। সেই টাকা মায়াবতীকে নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে।’’ উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ১৯৪ কোটি টাকার হাতির মূর্তি তৈরি করেছিলেন মায়াবতী। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ এপ্রিল। তবে, মায়াবতীর আইনজীবী লোকসভা ভোটের কথা ভেবে শুনানি পিছনোর আরজি জানিয়েছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.