সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের কোনও অংশকে ‘পাকিস্তান’ বলে উল্লেখ করা যায় না। কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি বেদব্যাসাচার শ্রীশানন্দকে একথা জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। বেঙ্গালুরুর নির্দিষ্ট একটি এলাকাকে ‘পাকিস্তান’ বলে উল্লেখ করেছিলেন ওই বিচারপতি। পরে তিনি এই মন্তব্যের জন্যও ক্ষমা চান। এবার তাঁকে বিচারপতি চন্দ্রচূড় বললেন, ”এটা (এমন ধরনের মন্তব্য) দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পরিপন্থী।”
দিন কয়েক আগে কর্নাটক হাই কোর্টের বিচারপতি বেদব্যাসাচার শ্রীশানন্দ একটি মামলার শুনানিতে বেঙ্গালুরুর মুসলিম অধ্যুষিত এক এলাকাকে ‘পাকিস্তান’ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “ওই এলাকাটিতে একেকটি অটোতে ১০ জন করে যাত্রী ওঠেন। যতই দক্ষ পুলিশ অফিসার নিয়োগ করা হোক না, ওখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব নয়। ওখানে পুলিশ আধিকারিকদের মারধর করা হয়। ওটা আসলে ভারতের অংশ নয়, পাকিস্তানের মতো।”
এর পরই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ পুরো মামলার রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কর্নাটক হাই কোর্টের কাছে। গত ২০ সেপ্টেম্বর বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, বিচারপতিদেরও মতামত প্রকাশের আগে নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মানা উচিত। আরও সতর্ক হওয়া উচিত। এর পর বুধবার ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ”দেশের কোনও অংশকেই পাকিস্তান বলা যায় না। এটা দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতার পরিপন্থী। রোদের উত্তর হল আরও রোদ্দুর। আদালতে কী হয়েছে তা চেপে দেওয়া যায় না।”
সেই সঙ্গেই এদিন সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি শ্রীশানন্দের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়।
কর্নাটক হাই কোর্টের ওই বিচারপতির মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। এর আগেই সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আজকের সোশাল মিডিয়ার যুগে আদালতের কী হচ্ছে, কী বলা হচ্ছে সেগুলিও ভীষণভাবে নজরে থাকে। তাই হাই কোর্টের বিচারপতিদের জন্যও নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা উচিত। এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার মেহেতার সাহায্যও চেয়েছে শীর্ষ আদালত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.