সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৩ বছর বাদে আরএসএস কর্মী খুনে অভিযুক্ত পিএফআই নেতাকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বক্তব্য, “কেউ নির্দিষ্ট কোনও আদর্শ মেনে চলে বলেই তাঁকে দীর্ঘদিন জেলে আটকে রেখে দেওয়া যায় না।”
২০২২ সালের এপ্রিল মাসে কেরলের পালাক্কাডে খুন হন আরএসএস কর্মী শ্রীনিবাসন। পিএফআইয়ের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তারকে ওই খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। এই খুনে সরাসরি জড়িয়ে থাকার অভিযোগ না থাকলেও খুনের ষড়যন্ত্রে তাকে অভিযুক্ত হিসাবে দেখায় NIA। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, আব্দুস সাত্তার শ্রীনিবাসনকে খুনের জন্য ক্যাডার জোগাড় করেছিলেন এবং তাদের অস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেন।” গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রায় ৩ বছর ওই পিএফআই নেতার বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করা যায়নি। কারণ ইডির তরফে চার্জশিট জমা পড়েনি।
সুপ্রিম কোর্ট বুধবার জানাল, “ওর বিরুদ্ধে বিচার শুরু করা হোক। দোষী হলে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া যেন শাস্তি না হয়ে দাঁড়ায়।” বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্বল ভুঁইয়ার ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “এক্ষেত্রে মনে হচ্ছে ও শুধু নির্দিষ্ট আদর্শ মেনে চলে বলে জেলে রেখে দেওয়া হচ্ছে। কেউ নির্দিষ্ট আদর্শ মেনে চলে বলেই তাঁকে অনির্দিষ্টকাল জেলে আটকে রাখা যায় না।” উল্লেখ্য, ওই আরএসএস কর্মী খুনে মোট ৪৪ জন অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৩৬ জন ইতিমধ্যেই জামিন পেয়ে গিয়েছেন।
উল্লেখ্য, বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে ২০২২ সালে পিএফআই-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। ইউএপিএ আইনে পাঁচ বছরের জন্য সংগঠনটির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০২০ সালে বেঙ্গালুরু দাঙ্গার নেপথ্যে হাত রয়েছে পিএফআইয়ের বলে দাবি তদন্তকারীদের। ২০২১ সালে উচ্ছেদ অভিযান ঘিরে হওয়া অসমের সংঘর্ষের নেপথ্যে ছিল মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, আল কায়দার সঙ্গেও যোগ রয়েছে মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র। দেশজুড়ে এনআইএ অভিযানের পর পপুলার ফ্রন্টকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.