সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোদি সরকার দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক জনগণনার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেই রাহুল গান্ধীকে ‘কৃতিত্ব’ দিতে আসরে নেমে পড়ল কংগ্রেস। দেশের প্রধান বিরোধী দলের দাবি, রাহুল গান্ধীর চাপেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হল মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই দিল্লিজুড়ে রাহুলকে কৃতিত্ব দিয়ে পোস্টার দেওয়া শুরু করেছে হাত শিবির।
দেশজুড়ে জাতিভিত্তিক জনগণনার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব ছিলেন বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে জাতিগত জনগণনাকেই মূল এজেন্ডা হিসাবে তুলে ধরেছিলেন রাহুল। তাতে বিহার, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এমনকী মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যেও ভালোরকম সাফল্য পায় বিরোধী শিবির। সংসদেও বিষয়টি নিয়ে বারবার সোচ্চার হন রাহুল গান্ধী। এমনকী তাঁর নির্দেশে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিতে জাতিভিত্তিক জনগণনার কাজ শুরুও সেরাজ্যের সরকারগুলি।
এরই মধ্যে বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার জনগণনার সঙ্গেই জাতও দেখা হবে নাগরিকদের। কেন্দ্রের তরফে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ঘোষণা করেন, এবার যে জনগণনা হবে তা হবে জাতিভিত্তিক। এরপরই রাহুল গান্ধী মুখ খোলেন। তিনি কোন প্রক্রিয়ায় কেন্দ্র ওই জনগণনা করবে সেদিকেও নজর রাখার আর্জি জানান। বিরোধী দলনেতা বলেন, “কীভাবে এই জনগণনা হয় সেটা দেখতে হবে। আমলাদের জনগণনা নয়, মানুষের গণনা করতে হবে।” এসব নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যেই কংগ্রেস দাবি করলে, কেন্দ্রের জাতগণনার পুরোটাই রাহুলের কৃতিত্ব।
আসলে রাহুল গান্ধী যে সময় জাতগণনার কথা বলতেন, সেসময় বিষয়টিকে কেউ সেভাবে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু তিনি নিয়মিত বিষয়টি নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন। এমনকী প্রকাশ্য মঞ্চে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন, “মোদিকে জাতিগণনা করাতে বাধ্য করব।” কেন্দ্রের ঘোষণার পর সেই চ্যালেঞ্জের কথা মনে করিয়ে দিল্লিজুড়ে পোস্টার দিচ্ছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের পোস্টারে রাহুলের ছবি দিয়ে তাঁকে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, “মোদিজি বলেছিলাম না আপনাকে জাতিগত জনগণনা করতেই হবে, নাহলে আরা করাব।” আবার কোনও কোনও পোস্টারে লেখা, “এই দুনিয়ে মাথা নোয়ানোর জন্য প্রস্তুত। শুধু শক্তিশালী নেতা চায়।” অবশ্য একই রকম পোস্টার বিহারে আরজেডির দপ্তরেও পড়েছে। তবে সেখানে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে লালুপ্রসাদ যাদব এবং তেজস্বী যাদবকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.