ছত্তিশগড় হাইকোর্ট।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘একটি রাজ্যে পশ্চাদপদ হলে অন্য রাজ্যেও তিনি পশ্চাদপদ হবেন তার কোনও মানে নেই। ফলে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেলে বৈধ থাকবে না জাতি শংসাপত্র।’ সংরক্ষণ সংক্রান্ত এক মামলার রায়ে এমনটাই নির্দেশ দিল ছত্তিশগড় হাই কোর্ট। শুধু তাই নয় আদালত আরও জানিয়েছে, দুটি রাজ্যেই যদি ওই সম্প্রদায় তপশিলি উপজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত থাকে তাহলেও বৈধতা হারাবে শংসাপত্র।
রাজস্থান থেকে ছত্তিশগড়ে এসে বসবাস শুরু করেছিল এক পরিবার। ছত্তিশগড়ে এসে নিজেকে রাজস্থানের ‘ভিল’ সম্প্রদায়ভুক্ত দাবি করে ছত্তিশগড়ে তপশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দাবি করেন তিনি। রাজস্থানে ‘ভিল’ সম্প্রদায় তপশিলি উপজাতির মধ্যে পড়ে। সেই যুক্তিতেই ছত্তিশগড়ে জাতি শংসাপত্রের আবেদনকারী ওই ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে প্রশাসন। কাস্ট স্ক্রুটিনি কমিটির তরফে জানানো হয়, শংসাপত্র পেতে ভুয়ো নথি দাখিল করেছেন অভিযুক্ত। তিনি আসলে নায়েক সম্প্রদায়ভুক্ত। বাড়তি সুবিধা নিতে নিজেকে ‘ভিল’ বলে দাবি করেছেন। এর পর ছত্তিশগড় সরকারের বিরুদ্ধে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আবেদনকারী। তবে মামলাকারীর দাবি ধোপে টেকেনি।
ওই ব্যক্তির আবেদন খারিজ করে হাই কোর্টের বিচারপতি নরেন্দ্র কুমার ব্যাস জানান, কোনও রাজ্যে কোনও জাতির স্বীকৃতি সেখানে তার আর্থসামাজিক ও শিক্ষাগত অবস্থানের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। ফলে অন্য কোনও রাজ্যে তিনি জাতি শংসাপত্র পাবেন কিনা সেটা নির্ভর করবে সেই রাজ্যে ওই সম্প্রদায় একইরকমভাবে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় কিনা তার উপর।
একইসঙ্গে সঙ্গে আদালত জানায়, একটি রাজ্যে পশ্চাদপদ হলে অন্য রাজ্যেও তিনি পশ্চাদপদ হবেন তার কোনও মানে নেই। ফলে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে গেলে পুরানো জাতি শংসাপত্র বৈধ থাকবে না। এ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালতের এক রায়কে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরে হাই কোর্ট। যেখানে একইরকম মামলায় ভিন রাজ্য থেকে দিল্লিতে এসে তপশিলি উপজাতির স্বীকৃতি দাবি করা এক ব্যক্তির আবেদন খারিজ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.