সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋণখেলাপি থেকে জালিয়াতি। একের পর এক ঝটকায় কিনারায় দাঁড়িয়ে ভারতীয় ব্যাংক। এমনই পরিস্থিতিতে এবার প্রকাশ্যে ‘ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অফ কমার্স’-এ বড়সড় জালিয়াতি। ঘটনার তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (সিবিআই)।
[পিএনবি কেলেঙ্কারি: নীরব মোদির ৯টি বিলাসবহুল গাড়ি বাজেয়াপ্ত করল ইডি]
অভিযোগ, ২০০৭ থেকে ২০১২-র মধ্যে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক থেকে জাল নথির মাধ্যমে ৩৮৯ কোটি টাকা ঋণ নেয় ‘দ্বারকা দাস শেঠ ইন্টারন্যাশনাল’ নামের একটি স্বর্ণ ব্যবসায়ী সংস্থা। ওরিয়েন্টাল ব্যাংকের জাল ‘লেটার অফ ক্রেডিট’-এর মাধ্যমে সোনা কেনার পর পাওনাদারদের টাকা মেটায় তারা। ফলে সমস্ত ঋণের দায় বর্তায় ওই ব্যাংকের উপর। ২০১৬-র শেষের দিকে ব্যাপারটি নিয়ে টনক নড়ে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের। তারপরই সিবিআইয়ের কাছে অভিযোগ দায়ের করে ওরিয়েন্টাল ব্যাংক। যদিও নীরব কাণ্ডের পরই বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে আসে। সিবিআই সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই দ্বারকা দাস শেঠ ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। একই সঙ্গে ‘দ্বারকা দাস সেঠ এসইজেড ইনকর্পোরেশন’-এর বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ঋণ খেলাপিতে জর্জরিত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি। গত ১১ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলি চাগিয়ে তুলতে প্রায় ২.৪ লক্ষ কোটি টাকার ভরতুকি দিয়েছে কেন্দ্র। চলতি বছরই ধুঁকতে থাকা ব্যাংকগুলিকে চাগিয়ে তুলতে ফের ‘ব্যাংক রিক্যাপিটালাইজেশন’ করার কথা ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তবে বিজয় মালিয়া থেকে শুরু করে নীরব মোদি কাণ্ডে সেই পরিকল্পনা কতটা সফল হবে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিরোধীদের অভিযোগ মোদি সরকারের আমলে এহেন ঘটনায় ব্যাংকিং সিস্টেমের উপর মানুষের আস্থা উঠে যাচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে চাপে রয়েছে কেন্দ্র। তাই এবার একপ্রকার মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঋণ খেলাপিতে দোষী সাব্যস্তদের রেয়াত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। তবে, আদৌ কী বিজয় মালিয়া বা নীরব মোদিদের আইনের নাগালে আনা যাবে? উঠছে এমন প্রশ্নই।
[শুধু নীরব মোদি নন, পিএনবি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন দেশের এই প্রধানমন্ত্রীও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.