ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৈবাহিক ধর্ষণে স্বামীকে ছাড় দেওয়ার বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে একগুচ্ছ পিটিশন দায়ের হয়েছিল। মঙ্গলবার ছিল তার শুনানি। কিন্তু এদিন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা শীর্ষ আদালতের কাছে আবেদন করেন, চলতি সপ্তাহে যেন শুনানি না হয়। কারণ, কেন্দ্র এখনও এই বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালতের কাছে কোনও জবাব পেশ করেনি, নিজেদের অবস্থানও স্পষ্ট করেনি। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালার বেঞ্চকে সলিসিটর জেনারেল বলেন, ‘‘আমাদের এই বিষয়ে জবাবদিহি পেশ করতে হবে। তাই এই সপ্তাহে শুনানি না হলেই ভালো।’’
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হওয়া আবেদনগুলির দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছিলেন অভিজ্ঞ কৌঁসুলি করুণা নন্দী। গত ১৮ সেপ্টেম্বর আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংও এই মামলার দ্রুত শুনানির আবেদন জানান। তখন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি জে বি পার্দিওয়ালা বলেছিলেন, বিষয়টি মঙ্গলবার শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত হয়েছে।
লক্ষণীয়ভাবে, বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে আইন প্রণয়নের মতো বিতর্কিত বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ধারাবাহিকভাবে নীরবতা পালন করতে থাকায়, গত বুধবার পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। বৈবাহিক ধর্ষণের অভিযোগে স্বামীকে যে ছাড় দেওয়া হয়, মঙ্গলবারের শুনানিতে তারই আইনি বৈধতা স্থির করার কথা ছিল শীর্ষ আদালতের।
উল্লেখ্য, বর্তমান আইনে সাবালিকা স্ত্রীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তঁার সঙ্গে বলপূর্বক যৌন সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে স্বামীরা সচরাচর ছাড় পেয়ে থাকেন। একেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছিল।
সুপ্রিম কোর্টে যে সমস্ত পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল, তাতে বর্তমানে বাতিল ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারা অনুযায়ী ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে কোনও স্ত্রীর সঙ্গে তঁার ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর যৌনক্রিয়াকে ধর্ষণ বলে গণ্য করা হবে না। এমনকী নতুন প্রবর্তিত ন্যায় সংহিতাতেও বিষয়টিতে একইভাবে স্বামীকে ছাড়ের কথা রয়েছে। এই বিষয়ে সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সরকারের মতামত জানতে চেয়েছিল। কিন্তু, দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্র এই ব্যাপারে কোনও আইনি পদক্ষেপ না করায় শেষমেশ সুপ্রিম কোর্ট সিদ্ধান্ত নেয়, তারাই আইনি বৈধতা বিচার করবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.