সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের প্রতিটি গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ। দিন দুই আগেই একথা ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টুইটও করেন। কিন্তু তারপর থেকেই ভূরি ভূরি অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।
সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, একটি গ্রামকে তখনই ইলেকট্রিফায়েড হিসেবে ঘোষণা করা হবে যখন সেখানে সাধারণ বৈদ্যুতিন পরিকাঠামো থাকবে। সেখানকার ১০ শতাংশ বাড়ি ও সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন- স্কুল, পঞ্চায়েত অফিস ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো স্থানে বিদ্যুৎ থাকবে। আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছেন সমালোচকরা। তাঁদের মতে, বিদ্যুৎসংযোগ নিছক একটি ট্যাগ মাত্র। কারণ এখনও দেশের প্রচুর মানুষ আঁধারেই দিন কাটাচ্ছেন। সরকার তৃণমূল স্তরের পরিস্থিতির প্রতিফলন ঘটায়নি।
বিদ্যুৎ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, রিপোর্ট অনুযায়ী ৮২ শতাংশেরও বেশি গ্রামের বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। কিছু গ্রামের অবস্থান, আকার, সম্পদের কারণে সেখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন একটি প্রকল্প আনা হয়েছে। এর নাম ‘প্রধানমন্ত্রী সহজ বিজলি হর ঘর যোজনা’। গত বছরই এটির সূচনা হয়েছে। প্রতিটি গ্রামের শেষ বাড়িটি পর্যন্ত যাতে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়া যায়, তার জন্যই এই যোজনা আনা হয়েছে।
২০১৫ সালে কেন্দ্র ঘোষণা করেছিল, ১ হাজার দিনের মধ্যে দেশের প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎসংযোগ পৌঁছে হবে। প্রকল্প যাতে ব্যর্থ না হয়, সেই কারণে এবছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ দিন ধার্য হয়েছে পরের বছর মার্চ মাসে। সমালোচকরা বলেছেন, আসল পরীক্ষা তখনই হবে যখন সরকার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারবে। বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিং জানিয়েছেন, সরকার এবিষয়ে নিশ্চিত। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.