সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দুই সন্তান নীতি। তবে এতদিন যে দুই সন্তান নীতি চলে আসছে, বা দেশজুড়ে কার্যকর করার দাবি উঠছে, ঠিক তার উলটো। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নায়ডুর ইঙ্গিত, এবার তাঁর রাজ্যে পঞ্চায়েত বা পুরসভা ভোটে লড়তে হলে দুইয়ের বেশি সন্তান থাকা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হবে। যার অর্থ যাঁদের সন্তান সংখ্যা দুই বা তার কম, তাঁরা ভোটে লড়তে পারবেন না।
অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, “আগে আমাদের নিয়ম ছিল দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে তাঁরা পঞ্চায়েত বা পুর ভোটে লড়তে পারবেন না। এখন আমি বলছি, কম সন্তান থাকলে তাঁদের ভোটে লড়তে দেওয়া উচিত নয়।” সরাসরি এখনই ভোটে লড়ার জন্য দুইয়ের বেশি সন্তান থাকা বাধ্যতামূলক করার নীতি আনার কথা ঘোষণা না করলেও আগামী দিনে যে এই ধরনের নীতি আসতে পারে স্পষ্ট সেই ইঙ্গিত তিনি দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, অন্ধ্রের মুখ্যমন্ত্রীর ইঙ্গিত, যাঁদের বেশি সন্তান থাকবে তাঁরা আগামী দিনে সরকারের থেকেও বাড়তি সাহায্য পাবেন।
অন্ধ্রে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নির্বাচনে দুই সন্তান নীতি চালু ছিল। ১৯৯৪ সালের ওই নীতি অনুযায়ী, দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে কেউ স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারতেন না। গত বছর সেই নিয়ম বদলে দিয়েছেন নায়ডু। নভেম্বরে ওই বিলে সংশোধনী পাশ করায় টিডিপির সরকার। এখন দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলেও অন্ধ্রে স্থানীয় নির্বাচনে লড়া যাবে। আগামী দিনে আরও এক ধাপ এগিয়ে ভোটে লড়ার ক্ষেত্রে দুইয়ের বেশি সন্তান বাধ্যতামূলক করার কথা ভাবছেন নায়ডু।
দেশের জনসংখ্যা যখন হু হু করে বাড়ছিল, সেসময় দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে কড়াভাবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে প্রশাসন। তাতে সাফল্য এসেছে। দক্ষিণের অধিকাংশ রাজ্যে জন্মের হার এই মুহূর্তে জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেকটাই কম। অন্ধ্রপ্রদেশও ব্যতিক্রম নয়। এই মুহূর্তে গোটা দেশে মহিলাপিছু প্রসবের হার ২.১১। সেখানে অন্ধ্রে মহিলাপিছু প্রসবের হার ১.৫। চন্দ্রবাবু নায়ডু মনে করছেন, রাজ্যের জন্মহার এখনই বাড়ানো উচিত। জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে জাপান, কোরিয়ার মতো দেশগুলি সমস্যায় পড়েছে। কারণ সেদেশে মানুষের আয়ু বাড়লেও, জন্মের হার সমানুপাতিকভাবে বাড়েনি। ফলে দেশের বৃদ্ধের সংখ্যা বেড়েছে, কমেছে তারুণ্য। যার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.