ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নির্ভয়া কাণ্ডের ছায়া। এবার ঘটনাস্থল ছত্তিশগড়। সেবার রাজধানী দিল্লিতে চোখের সামনেই প্রেমিকাকে গণধর্ষিতা হতে দেখেছিলেন যুবক। হাজার চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারেননি নির্ভয়াকে। অভিযুক্তদের হাতে বেধড়ক মার খেতে হয়েছিল তাঁকেও। সেই রাতের কথা মনে করলে আজও শিউরে ওঠেন যুবক। সেই বিভীষিকার রাত ফিরল আরেক যুগলের জীবনে। এবার নির্যাতিতা এক নাবালিকা। দুই ব্যক্তির হাতে গণধর্ষণের শিকার হল সে। আর ঘটনার সাক্ষী থাকতে হল প্রেমিককে। কিন্তু এমন দৃশ্য দেখে মানসিকভাবে এতটাই ভেঙে পড়েন তিনি, যে আত্মহননের পথই বেছে নেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গত পয়লা সেপ্টেম্বর। আর যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন ঠিক তার দুদিন পর। কিন্তু তখনও পর্যন্ত এ ঘটনার কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। গণধর্ষণের প্রায় ১২ দিন পর গত বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করে নির্যাতিতা। তারপরই বিষয়টি পুলিশের নজরে আছে। বৃহস্পতিবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পসকো আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। নাবালিকার বাড়ির এলাকাতেই থাকত অভিযুক্তরা বলে জানায় পুলিশ।
ছত্তিশগড়ের কোরবা জেলায় ঘটে এই মর্মান্তিক ঘটনা। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ওই নাবালিকা জানায়, ১৯ বছরের প্রেমিক শাওন সাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বাজার থেকে ফিরছিল সে। অভিযোগ, ভেলওয়াত্রিকরা এলাকায় পৌঁছতেই ঈশ্বর দাস ও খেম নামের দুই ব্যক্তি ঘিরে ধরে শাওনকে। এলাকায় কেন গার্লফ্রেন্ডের সঙ্গে ঘোরাফেরা করছে, জিজ্ঞেস করা হয় তাঁকে। সেখান থেকেই শুরু বচসা। যা গড়ায় হাতাহাতিতে। দুই অভিযুক্ত এরপর শাওনকে বেধড়ক মারধর করে। জ্ঞান হারিয়ে লুকিয়ে পড়েন তিনি। সেই সুযোগেই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করা হয়। কোরবা থানার এসপি ময়ঙ্ক শ্রীবাস্তব জানান, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, হতাশা ও প্রেমিকাকে রক্ষা করতে না পারার অপরাধ বোধ থেকেই আত্মঘাতী হন শাওন। ৩ সেপ্টেম্বর নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। তবে শাওনের পরিবার কেন পুলিশের দ্বারস্থ হয়নি, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.