সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারদিকে ঘন জঙ্গল৷ দিনের আলোতেও যার ভিতরে একা যেতে সাহস করেন না স্থানীয়রাই৷ কেউ যেতে চাইলে তাঁকেও বারণ করা হয়৷ এমন গভীর অরণ্য থেকে উদ্ধার হল একরত্তি শিশু৷ ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার বারিপদা শহরের কাছে অবস্থিত কৃষ্ণচন্দ্রপুর অরণ্যে৷
[প্রকাশিত মাধ্যমিকের ফল, মেধার টক্করে এবার সেরা বাঁকুড়া]
জানা গিয়েছে, কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা কাজের খাতিরে অরণ্যের ভিতরে যান৷ তাঁরাই প্রথমে দেখেতে পান সদ্যোজাতকে৷ একটি কাপড়ে মুড়ে ফেলে রাখা হয়েছিল৷ তাঁর মাধ্যমেই খবর পৌছয় ওড়িশার শিশুসুরক্ষা বিভাগে৷ শিশুসুরক্ষা বিভাগের একটি বিশেষ দল এসে শিশুটিকে উদ্ধার করে৷ ওড়িশার পণ্ডিত রঘুনাথ মুর্মু মেডিক্যাল কলেজে তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা৷
কে বা কারা শিশুটিকে এভাবে ভয়ঙ্কর অরণ্যে ফেলে রেখে গিয়েছে তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ ও শিশুসুরক্ষা বিভাগের কর্মীরা৷ তবে তাঁদের অনুমান, শিশুটি কন্যাসন্তান হওয়ার কারণেই এভাবে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে ঘন অরণ্যে৷ যাতে সবার অলক্ষ্যে কোনও হিংস্র পশুর শিকার হয়ে যায় একরত্তি প্রাণ৷ কিংবা অনাহারে, অযত্নে প্রাণ যায় তার৷ কিন্তু হরি যাকে রাখেন, তাকে মারবে এমন সাধ্যি কার আছে? তাই ভাগ্যের জোরেই এ যাত্রায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছে শিশুটি৷
[ফের বিপর্যয় ‘পদ্মাবতী’র সেটে, এবার আহত রণবীর সিং]
প্রসঙ্গত, এপ্রিলের শেষে উত্তরপ্রদেশের বাহরাইচ এলাকার কাছের কাতারনিয়াঘাট অভয়ারণ্যের মোতিপুর রেঞ্জে একটি বানরের দলের কাছ থেকে এক ৮ বছরের বালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছিল৷ জঙ্গলেই বেড়ে উঠেছিল সে কন্যা৷ সভ্যজগত সম্পর্কে সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ৷ তাই তার আচরণ ছিল বাঁদরের মতোই৷ প্রথমে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে একটি হোমে পাঠানো হয় তাকে৷ সংবাদের শিরোনামে তাকে আখ্যা দেওয়া হয়েছিল ‘মোগলি গার্ল’৷ যাকে নিজেদের সন্তান বলে দাবি করেছিলেন এক লখিমপুর খেরি জেলার বাসিন্দা রাম আধার ও মাখানা দেবী৷ কিন্তু ওড়িশার সদ্যোজাত শিশুটির ক্ষেত্রে এখনও পর্যন্ত এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি৷
[কাশ্মীরে সেনার গুলিতে নিকেশ হিজবুল কমান্ডার সবজার ভাট]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.