সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে রাজস্থানের কোটার জেকে লোন হাসপাতালে। রবিবার পর্যন্ত সেখানে মোট ১১০ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এরপরই দেশজুড়ে সমালোচিত হচ্ছে রাজস্থানের গেহলট সরকার। যদিও দুদিন আগে এই ঘটনার জন্য পূর্বতন বিজেপি (BJP) সরকারকে দায়ী করেছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট।
তাঁর অভিযোগ ছিল, ‘বিজেপি শাসিত সময়ে রাজস্থানে হাজার শিশুর মৃত্যু হয়েছিল। কিন্তু, কংগ্রেস আমলে সেই সংখ্যাটা মাত্র ১০০। এখানে কোনও রাজনীতি নেই। সংবাদমাধ্যমে একে খামোখা ইস্যু করা হচ্ছে।’ যদিও তাঁর এই বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী শচিন পাইলট। নিজেদের সরকারের প্রতি সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এই ঘটনাটিকে আমাদের আরও সহানভূতি ও সংবেদনশীলতার সঙ্গে দেখা উচিত ছিল। ১৩ মাস সরকারে থাকার পরও পূর্বতন সরকারের ব্যর্থতাকে দোষ দেওয়ার কোনও মানে হয় না। নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।’ অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। শনিবার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফেও।
এর মাঝেই ক্রমশ বাড়ছে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে জেকে লোন হাসপাতালে। রাজস্থানের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, হাইপোথার্মিয়ায় মৃত্যু হয়েছে এই শিশুদের। এক্ষেত্রে শিশুর দেহের তাপমাত্রা ৯৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের নিচে নামতে থাকে। যেখানে স্বাভাবিক শারীরিক তাপমাত্রা হওয়ার কথা ৯৮.৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট।
তবে শুধু কোটার জেকে লোন হাসপাতাল নয়, রাজস্থানের একাধিক সরকারি হাসপাতালগুলিতে শিশুমৃত্যু সংখ্যা বেড়েই চলেছে। কোটায় যেখানে ১১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বিকানেরে সেই সংখ্যা গিয়ে পৌঁছেছে ১৬২টিতে। বিষয়টি নিয়ে কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। আরও জানা গিয়েছে যে সরকারি হাসপাতালগুলিতে থাকা ২৮টির মধ্যে ২২টি নেবুলাইজার কাজ করছে না। ১১১টি পাম্পের মধ্যে ৮১টি পাম্প কাজ করছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.