সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখে আলোচনার কথা বললেও আসলে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে চিন (China)। লাদাখে এখনও ভারতীয় ভূখণ্ডে রয়েছে লালফৌজ। কিন্তু তা সত্বেও গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষের জন্য ভারতকেই দায়ী করেছে চিন।
শুক্রবার আমেরিকার কোয়াড বৈঠকের মাঝেই চিনের তরফে দাবি করা হয়েছে, ভারত সীমান্ত সংক্রান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে ও চিনা ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে। ওই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান ও মাত্র চারজন চিনা জওয়ান নিহত হয়েছিল। চিনা বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেন, “গতবছর গালওয়ানে সংঘাত হয় কারণ ভারত সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন করে চিনা ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। অবৈধভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার করে ভারত। আমরা আশা করছি সীমান্ত সংক্রান্ত সমস্ত সমঝোতা মেনে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখবে ভারত।”
২০২০ সালের ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় মুখোমুখি হয় ভারত ও চিনের ফৌজ। দু’পক্ষের জওয়ানরাই লোহার রড ও কাঁটাতার জড়ানো হাতিয়ার নিয়ে বেশ কয়েক ঘণ্টা লড়াই করে। রক্তক্ষয়ী সেই সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। ১৯৭৫ সালে পর এই প্রথম প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পরেই সীমান্তে কার্যত যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়। অবশেষে পরিস্থিতি শান্ত করতে কয়েক দফা আলোচনায় বয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনী। তবে তাতে আঁচ কিছুটা কমলেও উত্তেজনা পুরোপুরি কমেনি।
বিশ্লেষকদের মতে, কোয়াড বৈঠকের জেরেই ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে চিন। বলে রাখা ভাল, চিনকে চাপে রাখতে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে দুই বন্ধু রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সঙ্গে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার প্রায় চব্বিশ ঘন্টা পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পৌরহিত্যে ‘সাদা বাড়ি’র সজ্জিত কক্ষে কোয়াড গোষ্ঠীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অংশ নেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন, জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তাই এবার পালটা নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বেজিং।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.