সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখ (ladakh) সীমান্তে ফের রাস্তা নির্মাণ করছে চিন (China)। দূরত্ব কমাতে পুরনো সড়কগুলির বিকল্প রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছে ড্রাগন। লক্ষ্য, জরুরি পরিস্থিতিতে আরও কম সময়ে লাদাখ সীমান্তে সেনা (PLA) ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পৌঁছে দেওয়া। উপগ্রহ চিত্রে সম্প্রতি ড্রাগনের এই গোপন অভিসন্ধি সামনে এসেছে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ১৯৬২ সালে যে এলাকায় সড়ক নির্মাণকে ঘিরে ভারত-চিন সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছিল. এবার ফের সেই রাস্তারই সংযোগকারী সড়ক বানাচ্ছে চিন।
গত দশকের উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছিল, পূর্ব লাদাখের উত্তর-পূর্ব দিকে নতুন রাস্তা বানাচ্ছে ড্রাগন। এর মধ্যে রয়েছে G২১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযোগকারী একটি সড়কও। এটি মূলত লাসা থেকে খাসগড় অবধি যাবে। আর এখানেই বিপত্তি। জানা গিয়েছে, সড়কটি এমন এলাকা দিয়ে যাবে যা ১৯৬২ সালে দুদেশের মধ্যে বিরোধিতার সূত্রপাত হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ১৯৬২ সালের সংঘর্ষের পর G219 সড়কের পশ্চিম প্রান্ত চিনের দখলে রয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহল বলছে, পূর্ব লাদাখে এতদিন একটি মাত্র সড়কপথ ছিল চিনের তরফে। যা সামরিক ক্ষেত্রে ড্রাগনকে কিছুটা হলেও পিছিয়ে রাখছিল। সেকথা মাথাই রেখেই এবার নতুন করে রাস্তা তৈরি করতে শুরু করল চিন। যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত লাদাখ সীমান্তে সেনা ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম মোতায়েন করা যায়। কারণ, যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি ভারত বায়ুসেনার ব্যবহার করলে চিনের পক্ষে G219 সড়ক ব্যবহার করা ‘মুশকিল হি নেহি না, মুমকিন হ্যায়’। শুধু তাই নয়, পাহাড়ি এলাকায় প্রাকৃতিক কারণেও সড়কপথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সে কথা মাথায় রেখেই তড়িঘড়ি বিকল্প সড়ক গড়ছে ড্রাগন।
জানা গিয়েছে, নয়া সড়কটি গড়ে ১০ মিটার চওড়া ও ১৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ। নয়া সড়কটি হটন ও পূর্ব লাদাখের প্রবেশ পথ হাজি লঙ্গরের মধ্যের দূরত্ব প্রায় ৪০০ কিলোমিটার কমিয়ে দেবে। গত কয়েক মাস ধরে ভারত-চিনের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। এমন পরিস্থিতিতে চিনের এই সড়ক নির্মাণের বিষয়টি যে ভারতের মাথাব্যথা বাড়াবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.