সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখে (Ladakh) ভারত-চিন সীমান্তে ক্রমশ বাড়ছে উত্তেজনা। একই ছবি সিকিমে ভারত-চিন সীমান্তেও। এদিকে ভারতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এসবের মধ্যেই ভারতে আটকে থাকা নাগরিকদের দেশে ফেরাতে উদ্যোগী হল চিন। যে সমস্ত চিনা নাগরিকরা এদেশে পর্যটন, শিক্ষা বা ব্যবসার জন্য এসে আটকে পড়েছেন, তাঁদের দ্রুত দেশে ফেরানোর লক্ষ্যে বিশেষ বিমান চালাবে কমিউনিস্ট দেশটি। সোমবার এমনই এক বিজ্ঞপ্তি দেখা গিয়েছে দিল্লির চিনা দূতাবাসের ওয়েবসাইটে।
চিনের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে যে বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়েছে, তা মান্দারিন ভাষায় লিখিত। যার তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “বিদেশ মন্ত্রক এবং অন্যান্য মন্ত্রকের সহযোগিতায় চিনের দূতাবাস (Chinese embassy) ও বিভিন্ন কনস্যুলেট ভারতে আটকে পড়া চিনা ব্যবসায়ী, ছাত্র ও পর্যটকদের দেশে ফিরতে সাহায্য করবে। বিশেষ করে যারা এখানে সমস্যায় আছেন, এবং দ্রুত দেশে ফিরতে চান, তাঁরা আবেদন করতে পারেন।” ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শীঘ্রই নাগরিকদের জন্য বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করবে চিন সরকার। বিমানের ভাড়া বহন করতে হবে নাগরিকদেরই। দেশে ফিরে সবাইকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। যাদের শরীরে করোনার উপসর্গ আছে, তাঁরা দেশে ফিরতে পারবেন না। যদি কেউ রোগের কথা গোপন করে বিমানে ওঠেন, তাহলে তাঁকে জননিরাপত্তা আইনে শাস্তি পেতে হবে।
সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে চিনের এই সিদ্ধান্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। কারণ, করোনা আতঙ্কের মধ্যেই ভারতের সীমান্তে সেনা কার্যকলাপ বাড়িয়ে দিয়েছে চিন। বেশ কিছুদিন ধরে লাদাখে অস্বাভাবিকভাবে সেনা-জওয়ানের সংখ্যা বাড়াচ্ছে বেজিং। এর মধ্যে একবার চিনা বায়ুসেনা ভারতের আকাশসীমাও লঙ্ঘন করে। সিকিম সীমান্তেও বাড়ছে চিনের সেনা কার্যকলাপ। পাল্লা দিয়ে নেপালকে ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার কাজটাও করছে বেজিং। এসবের মধ্যেই নাগরিকদের দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত। এই সিদ্ধান্ত যে শুধু করোনার কথা মাথায় রেখে নেওয়া নয়, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.