আরও আগ্রাসী জিনপিংয়ের দেশ।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিশানায় ভারত। ফের পাকিস্তানের কাঁধে বন্দুক রাখল চিন। ইসলামাবাদকে একটি অত্যাধুনিক ‘মিসাইল ট্র্যাকিং সিস্টেম’ বিক্রি করেছে বেজিং। একাধিক অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ ও তার ক্ষমতা বৃদ্ধির গতি বাড়িয়ে তুলবে ওই সিস্টেম। এমনটাই দাবি হংকংয়ের ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’ সংবাদপত্রের।
[কল্পবিজ্ঞানকেও হার মানাচ্ছে চিন! যুদ্ধক্ষেত্রে রিমোট পরিচালিত ট্যাঙ্ক নামাচ্ছে বেজিং]
চিনা সরকারি সংবাদমাধ্যমের দাবি, ঠিক কত টাকায় চিন থেকে ওই সিস্টেমটি কিনেছে পাকিস্তান তা জানানো হয়নি। তবে ইতিমধ্যেই নাকি ট্র্যাকিং সিস্টেমটি ‘মিসাইল ফায়ারিং রেঞ্জে’ মোতায়েন করেছে পাক সেনা। নয়া মিসাইল নির্মাণ নিয়ে চলছে বিস্তর পরীক্ষা-নিরীক্ষাও। চিনের ‘সিএএস’ বা ‘ইনস্টিটিউট অফ অপটিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের’ গবেষক ঝং মেংউই খবরটির সত্যতা স্বীকার করেছেন।
গবেষক ঝং জানিয়েছেন, “পাকিস্তান অতি উচ্চমানের, বড় মাপের অপটিক্যাল ট্র্যাকিং ও সিস্টেম কিনেছে চিন থেকে। আমরা স্রেফ ওদের একজোড়া চোখ দিয়েছি। ওরা যা দিয়ে যেখানে খুশি, এমনকী চাঁদেও নজরদারি চালাতে পারে।” উল্লেখ্য, পাকিস্তানের মিসাইল প্রোগ্রামে মদত দিয়ে এসেছে চিনারা। একথা সবাই জানে, তবে সরকারিভাবে এই অভিযোগ খারিজ করে এসেছে বেজিং। সেক্ষত্রে এদিনের স্বীকারোক্তির অর্থ হচ্ছে পাকিস্তান-নীতি পালটেছে কমিউনিস্ট দেশটি। নেতৃত্বের রাশ শি জিনপিংয়ের হাতে আসার পর থেকেই আরও আগ্রাসী হয়েছে লাল চিন।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃহস্পতিবার ট্র্যাকিং সিস্টেম-এর খবরটি প্রকাশ পায়। ওই দিনই বিশ্বের দ্রুততম মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করে ভারত। পোখরানে নির্দিষ্ট লক্ষ্যে আঘাত হানে ব্রহ্মস মিসাইল। ভারত ও রাশিয়া যৌথভাবে এই মিসাইলটি নির্মাণ করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের দ্রুত উত্থান অশনি সংকেত দেখছে চিন। তাই পাকিস্তানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে দিল্লির উপর চাপ বাড়াতে চাইছে বেজিং। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তি হাতে আসায় পাকিস্তানের মিসাইল প্রোগ্রাম আরও দ্রুত এগিয়ে যাবে। ফলে আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা বিঘ্নিত হবে। এক্ষেত্রে সরাসরি বয়ান না দিলেও দিল্লির দরবারে শোরগোল পড়েছে।
[চিন ও পাকিস্তানকে ঠেকাতে এবার একযোগে আসরে ভারতীয় রেল ও সেনা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.