সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন বা সিএএ (Citizenship Amedment Act) গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ। এই আইন নিয়ে প্রশ্ন তোলা উচিত নয় বলে মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতকে সাফ জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশব্যাপী সিএএ বিরোধী আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতকে একথা জানান হয়।
দেশে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পাশের পর উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ। সংসদের উচ্চ থেকে নিম্নকক্ষ, রাস্তা, স্কুল, কলেজ কোথাও এই আন্দোলনের রেশ থেকে বাদ পড়েনি। এই আইনকে অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। এই আইন ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘সংবিধানের পরিপন্থী’ এই দাবি বারবার উঠে আসে আন্দোলনকারীদের মুখে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন করায় কেন্দ্র জানায়, এই আইন এটা পুরোপুরি বৈধ ও সাংবিধানিক। কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করে, “আদালতে এই আইন নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যায় না। এটি সংসদের সার্বভৌম ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিষয়। সংবিধানের ২৪৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংবিধানের কাছে ক্ষমতা রয়েছে প্রথম তালিকার সপ্তম তফসিলে থাকা যে কোনও বিষয়ের উপরে আইন প্রণয়নের। এর মধ্যে ১৭ নম্বরটি হল নাগরিকত্ব সংক্রান্ত।” সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, “এই আইনের সঙ্গে কোনও ভারতীয় সম্পর্কিত নয়। এই আইন মানুষকে নতুন করে নাগরিকত্ব দেবে কিন্তু কারওর নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে না। সিএএ নাগরিকদের আইনত, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ অধিকারকে খর্ব করছে না।”
২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে ধর্মীয় নিপীড়ণের শিকার হয়ে যে হিন্দুরা এদেশে এসেছেন তাদের সকলকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সমালোচকদের দাবি, এই আইন বৈষম্যমূলক। তবে সরকারের প্রশ্ন, জমা পড়া পিটিশন থেকে বোঝা যাচ্ছে না কী করে এই আইন এদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের জন্য বৈষম্য সৃষ্টি করতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.