সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নীতি আয়োগের বৈঠক নিয়ে দ্বিধা বিভক্ত বিরোধী জোট ইন্ডিয়া। অবিজেপি রাজ্যের প্রায় সব মুখ্যমন্ত্রীরা আগামী ২৭ জুলাই নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করলেও যোগ দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার দিল্লি পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দিল্লিতে বঙ্গ ভবনে পৌঁছে সাংবাদিকদের সঙ্গে চা চক্রে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার বিষয়ে একসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে হয়ত অন্য কিছু ভাবা যেত। এখন অবশ্য নীতি আয়োগের বৈঠকে তিনি যে যোগ দেবেন সে কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
নীতি আয়োগের বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটের বাকি সঙ্গীরা যোগ না দিলেও বাংলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগদানে রাজনৈতিক মহল বিরোধী জোটে ভাঙনের ইঙ্গিত দেখছে। এই পরিস্থিতিতে দিল্লিতে বসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত বাজেট পেশের আগেই নিয়েছিলাম। তবে সবাই মিলে আলোচনা করে যদি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হত তাহলে অন্য কিছু ভাবতাম।” পাশাপাশি বাংলার প্রতি লাগাতার বঞ্চনার ও বাংলা ভাগের যে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তাঁর নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ বলে জানান মমতা। এক্ষেত্রে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে, “ওই বৈঠকে কিছুক্ষণ থাকব। কিছু বলতে দিলে বাংলার হয়ে কথা বলব। আর যদি না বলতে দেয় সেক্ষেত্রে প্রতিবাদ জানিয়ে বেরিয়ে আসব।” তবে জানা যাচ্ছে, শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন, এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনও।
নীতি আয়োগের বৈঠকের পাশাপাশি এদিন বিজেপি নেতাদের বাংলা ভাগের পরিকল্পনার বিরুদ্ধেও সরব হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বাংলা ও বিহারের ৫ জেলাকে নিয়ে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গকে উত্তর-পূর্বের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি নেতাদের এহেন পরিকল্পনার বিরোধিতায় সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপি নেতারা যেভাবে বাংলা ভাগের দাবি তুলে সরব হচ্ছেন সেটা ঠিক নয়। বিজেপি নেতাদের এমন আচরণ অত্যন্ত নিন্দনীয়।”
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার বাজেট পেশের দিনই কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছিল কর্নাটক, তেলেঙ্গানা, হিমাচলপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেবেন না। পরে একই পথে হাঁটে পাঞ্জাব ও তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীও চিঠি লিখে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়ে দেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে যোগ দেবেন কিনা তা নিয়ে দোলাচল ছিলই। অবশেষে তা স্পষ্ট হল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.