সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারত নয়, সাগরপথের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে বাংলাদেশের হাতেই। সেটা ‘চিনা আগ্রাসনে’র বিরাট সুযোগ! চিন সফরে গিয়ে এমন বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান মুহাম্মদ ইউনুস। তার পালটা দিয়ে সুর চড়িয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। নজিরবিহীনভাবে হিমন্তের সঙ্গে কিছুটা সহমত কংগ্রেস নেতা পবন খেড়াও।
চারদিনের জন্য চিন সফরে গিয়েছেন ইউনুস। সেখান থেকেই তাঁর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। সেখানে নোবেলজয়ীকে বলতে শোনা গিয়েছে, “ভারতের পূর্ব প্রান্তের সাতটি রাজ্য, যাদের সেভেন সিস্টার্স বলা হয়। ওই বিরাট অঞ্চল কিন্তু পাহাড় আর স্থলভাগে ঘেরা। সমুদ্রপথে যোগাযোগ করার উপায়ই নেই তাদের। বাংলাদেশই হল সমুদ্রপথের রাজা। তাই ওই এলাকায় চিনা অর্থনীতির বিস্তার ঘটতেই পারে।” উল্লেখ্য, বাংলাদেশের মোংলায় আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার কথা ইতিমধ্যেই ভেবে ফেলেছে চিন।
‘ড্রাগন’ যদি এভাবে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলে, তাহলে নিঃসন্দেহে ভারতের সুরক্ষা বিঘ্নিত হবে। সেই বিষয়টি উল্লেখ করেই ইউনুসের মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন হিমন্ত। তাঁর কথায়, “ইউনুসের এই মন্তব্য অবমাননাকর এবং নিন্দনীয়। ভারতের ‘চিকেন নেক করিডর’কে বারবার দুর্বল প্রমাণ করার চেষ্টা হয় এসব মন্তব্যের মাধ্যমে। এমনকি দেশের ভিতর থেকেও চেষ্টা চলে ‘চিকেন নেক’কে বিকল করে উত্তর-পূর্বকে ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে আলাদা করার। তাই এই এলাকায় আরও বেশি করে রেল এবং সড়কপথ তৈরি করা উচিত, যেন ভারতের অন্যান্য প্রান্তের সঙ্গে যোগাযোগ আরও দৃঢ় হতে পারে।”
ভারতের উত্তর-পূর্ব প্রান্ত নিয়ে বাংলাদেশ সরকার যেরকম মনোভাব পোষণ করছে তাতে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠবে বলে মনে করছেন কংগ্রেস নেতা পবন খেড়াও। তিনি বলেন, “অরুণাচল প্রদেশে গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে চিন। সরকার মণিপুরের দিকে নজর দিচ্ছে না। আমাদের বিদেশনীতির এমনই বেহাল দশা, যাদের দেশ তৈরি করতে আমরা সাহায্য করেছিলাম তারাই এখন আমাদের একঘরে করার চেষ্টা করছে।” অন্তর্বর্তী সরকারের মাথায় ইউনুস বসার পর থেকেই ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। ইউনুসের মন্তব্যে কি আরও খারাপ হবে কূটনৈতিক সম্পর্ক?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.