সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ুতে এআইএডিএমকে এবং পিএমকের সঙ্গে জোট ঘোষণা করেছে বিজেপি। ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই এবার পালটা দিল কংগ্রেস শিবির। ডিএমকের সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করে ফেলল তাঁরা। তামিলনাড়ু এবং পুদুচেরির ৪০টি আসনের মধ্যে ১০টি আসন ভাগে পেল কংগ্রেস। ডিএমকে লড়বে ২১-২৫টি আসনে। বাকি আসন ছাড়া হবে ছোট শরিকদের।
ডিএমকে-কংগ্রেস সখ্য অবশ্য নতুন কিছু নয়। ইউপিএ জমানায় একসঙ্গে সরকার চালিয়েছে দুই দল। কিন্তু, ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে আলাদা আলাদা লড়েছিল তারা। তাতে কোনও পক্ষেরই লাভ হয়নি। দুই দলেরই ভাড়ার ছিল শূন্য। এআইএডিএমকে একাই ৩৭টি আসন পয়েছিল। তামিলনাড়ুর বাকি দুটি আসন যায় বিজেপি এবং জোটসঙ্গী পিএমকের খাতায়। তবে, জয়ললিতা এবং করুণানিধির মৃত্যুর পর দক্ষিণের রাজ্যের রাজনীতি অনেকটাই বদলেছে। দীর্ঘদিন বাদে এই প্রথম কোনও স্পষ্ট কোনও দিকপাল নেতা ছাড়া ভোট হচ্ছে তামিলনাড়ুতে। তাছাড়া জয়ললিতার মৃত্যুর পর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত এআইএডিএমকে এখন বিভক্ত। তাই এবছর ডিএমকের কামব্যাক করার সুযোগ আছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তামিলনাড়ুতে কংগ্রেসের সংগঠন আগের তুলনায় অনেকটাই দুর্বল। ২০১৪ তে কার্যত ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছিল দেশের সবচেয়ে পূরনো দল। এই পরিস্থিতিতে দর কষাকষিতে রাহুলের ১০টি আসন পাওয়া চমকে দিয়েছে অনেককে। বিশেষ করে বিজেপি যেখানে মাত্র ৫টি আসনে লড়বে, সেখানে কংগ্রেসের দশ আসন পাওয়াটা চমকপ্রদ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
ইতিমধ্যেই, রাহুল গান্ধীকে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন ডিএমকে নেতা স্ট্যালিন। এমনকী, বিরোধী জোটেও গুরুত্বপূর্ণ মুখ হিসেবে উঠে এসেছেন তিনি। তবে, লোকসভায় কংগ্রেসকে সাহায্য করাই তাঁর মূল উদ্দেশ্য, স্ট্যালিন নিজেই বলেছেন সেকথা। এমনকী দিল্লিতে ডিএমকে নেত্রী কানিমোঝি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখাও করেছেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আগামী লোকসভায় দক্ষিণের রাজ্যে দুই যুযুধান জোটের লড়াই হবে দেখার মতো।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.