সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যিই নেতৃত্বের অভাবে ভুগছে কংগ্রেস (Congress)! একের পর এক নির্বাচনে হার। শীর্ষ নেতৃত্ব বদল নিয়ে ঘনঘন ‘বিদ্রোহ’। এ তো গেল দলের জাতীয় পর্যায়ের কথা। আঞ্চলিক ক্ষেত্রেও সর্বভারতীয় দলটির দৈন্যদশা এতটাই যে কে দল ছাড়ছে আর কে যে থাকছে, তাই জানে না প্রদেশ নেতৃত্ব। নাহলে বিজেপির নেতা কি আর মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) যুব কংগ্রেস বড়সড় পদে নির্বাচিত হন!
গল্প নয়, এটাই বাস্তব। এমনই কান্ড ঘটেছে কমলনাথের মধ্যপ্রদেশে। এমনিতেই তো দলবদলের ঠেলায় সে রাজ্যে বেকায়দায় হাতশিবির। ঘর ছেড়েছে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। উপনির্বাচনে মুখ পুড়েছে কংগ্রেসের। তারমধ্যেই আবার দলীয় নির্বাচনের গেঁরো। আর সেই নির্বাচনের মুখ খুঁজতে গিয়ে ঠগ বাছতে গা উজাড় হওয়ার জোগার। এরমাঝেই এমন বিভ্রান্তি বাঁধিয়ে বসল কংগ্রেস। যার জেরে সর্বত্র এখন ব্যঙ্গ-বিদ্রুপের শিকার শতাব্দীপ্রাচীন দলটি।
হর্ষিত সিঙ্ঘইকে যুব কংগ্রেসের সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। পরে অবশ্য জানা যায়, কংগ্রেসে নতুন পদ পাওয়া নেতা আট মাস আগেই বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে ৮ মাস আগেই দল ছেড়েছিলেন হর্ষিত সিঙ্ঘই। কংগ্রেসের যুব সংগঠনে পদাধিকারীদের নির্বাচনে সেই হর্ষিতকেই সম্পাদক পদে নির্বাচিত করে দলের সদস্যরা। এই নির্বাচন এবার অনলাইনে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই জবলপুরের নেতা হর্ষিত যুব কংগ্রেসের যুব সম্পাদক নির্বাচিত হন বিজেপিতে থাকা সত্ত্বেও।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ আগেই ছিল মধ্যপ্রদেশের উপনির্বাচন। কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার জন্য সেটি ছিল প্রেস্টিজ ফাইট। সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন। ‘মহারাজ’ নিজের গড় ধরে রাখার পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশে পদ্মশিবিরকেও শক্তিশালী করে। এই পরিস্থিতি তাঁর ছেড়ে আসা দলের এমন দশা দেখে আড়ালে হয়তো তিনিই মুচকি হাসছেন!
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.