সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যে সরকারের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন এখনও কাটেনি। সোমবারই কংগ্রেস-জেডিএস শিবির ছেড়েছেন কংগ্রেসের এক বিধায়ক। দল ছাড়ার আগে অবশ্য পদত্যাগ করে গিয়েছেন তিনি। আগামী ৬ মার্চ কর্ণাটকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা রয়েছে। সেখানেই বিজেপিতে শামিল হওয়ার সম্ভাবনা ওই বিধায়কের। তবে, এসব অস্বস্তির মধ্যেও জোটকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে কংগ্রেস-জেডিএস নেতৃত্ব। সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে লোকসভা ভোটে একসঙ্গেই লড়তে চলেছে দুই দল।
আসন সমঝোতা নিয়ে বিবাদের জেরে কর্ণাটকে বিরোধী জোট নিয়ে রীতিমতো সংশয় তৈরি হয়েছিল। আসলে, কর্ণাটকের যে এলাকাগুলিতে জেডিএস শক্তিশালী, সেই এলাকাগুলি কংগ্রেসেরও শক্ত ঘাঁটি। তাই আসন সমঝোতাটা বেশ ঝামেলার ব্যপার হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। শোনা যাচ্ছিল, জোটে না গিয়ে বেশ কিছু আসনে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ লড়াইয়ের পথে হাঁটতে পারে কংগ্রেস-জেডিএস। কিন্তু, তেমন হলে গোটা রাজ্যে ভুল বার্তা যেতে পারে বলে মনে করেছেন দুই দলের নেতাই। তাই, শেষ পর্যন্ত আসন সমঝোতায় কিছুটা নমনীয় হয়েছে জেডিএস। সব ঠিক থাকলে দুই শিবিরের একসঙ্গে লড়াই করা কার্যত নিশ্চিত।
কিন্তু কোন ফর্মুলায় আসন সমঝোতা? জেডিএসের দাবি, বিধানসভায় আসন জয়ের নিরিখে লোকসভাতেও হোক আসন সমঝোতা। সেই অনুযায়ী, এক তৃতীয়াংশ আসন পাওয়ার কথা জেডিএসের। কংগ্রেসের পাওয়ার কথা দুই তৃতীয়াংশ। জেডিএস কংগ্রেসের কাছে ২৮ টি আসনের মধ্যে ১২ টি আসন দাবি করেছে। তবে, কংগ্রেস কোনওভাবেই ৯টির বেশি আসন ছাড়তে রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা নমনীয় হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডিএস নেতা দেবেগৌড়া। তিনি জানিয়েছেন, বৃহত্তর জোটের স্বার্থে তাঁরা নমনীয় হতে রাজি। তবে, কংগ্রেসকেও সেই মানসিকতা দেখাতে হবে। দুই শিবিরে যা শেষ খবর, তাতে জেডিএসকে ১০ থেকে ১১টি আসন ছাড়া হতে পারে। ১৭ থেকে ১৮ টি আসনে লড়াইয়ের সম্ভাবনা কংগ্রেসের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.