সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: রাজ্যপাল পদের সাংবিধানিক মর্যাদা রয়েছে। বেআইনি পথে পা বাড়ানো তাঁর উচিত নয়। কর্ণাটক নির্বাচনের পর এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা পি চিদম্বরম।
[ কংগ্রেসের সমর্থনে সরকার গড়ুন, কুমারস্বামীকে ফোন মমতার ]
কর্ণাটক নির্বাচনে একক বৃহত্তম দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বিজেপি। ম্যাজিক ফিগারে না পৌঁছতে পারলেও বৃহত্তম দল হিসেবে সরকার গড়ার আবেদন জানায় গেরুয়া শিবির। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় কংগ্রেস-জেডিএস জোট। অনেকেই মনে করছিলেন সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও মসনদ দখল করতে পারবে না বিজেপি। কংগ্রেস-জেডিএস জোট হওয়ার পর পাল্লা ভারী ছিল জোটের দিকেই। কিন্তু কর্ণাটকের রাজ্যপাল শেষ পর্যন্ত বিজেপিকেই সরকার গড়ার ডাক দেন। এরপরই চিদম্বরম মন্তব্য করেন, “রাজ্যপাল সাংবিধানিক পদের অধিকারী। কোনও বেআইনি বিপজ্জনক পথে তাঁর হাঁটা উচিত নয়। এক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। ” এরপরই চিদম্বরম প্রশ্ন তোলেন, জোটের নেতাদের সরকার গড়তে কেন আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন না রাজ্যপাল? তাঁর পথে কী বাধা হচ্ছে? কংগ্রেস ও জেজিএস জোট বিজেপিকে হার মানিয়েছে। তাহলে রাজ্যপালের উচিত তাদের আমন্ত্রণ জানানো।
[ কর্ণাটক কুরসি অধরা কুমারস্বামীর, বিজেপিকেই সরকার গড়তে ডাক রাজ্যপালের ]
কর্ণাটকে রকার গড়া নিয়ে গতকাল দিনভর চলে চাপানউতোর। ত্রিশঙ্কু বিধানসভা নিয়ে রাজ্যপালের কাছে দুটি পথ খোলা ছিল। এক, কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে সরকার গড়তে ডাক পাঠানো। দুই, একক বৃহত্তম দল হিসেবে বিজেপিকেই সরকার গড়তে আমন্ত্রণ জানানো। কিন্তু ভোটের আগে যদি একাধিক দলের জোট হয়, তবে সেই জোট অগ্রাধিকার পায়, এমনটাই মোট রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু এক্ষেত্রে জোট হয়েছে ভোটের পর। সেদিক থেকে কংগ্রেস ও জে়ডিএস-এর দাবির বৈধতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এরপরই আসছে একক বৃহত্তম দলের কথা। তারাও যদি অন্য কোনও দলের সমর্থনে বা নির্দলের সমর্থন জোটাতে পারে তবে তারাই সরকার গড়বে। ঠিক এই জায়গাতেই জিতে যাচ্ছে বিজেপি। আর সেইমতো আজ শপথ নিলেন বিজেপির ইয়েদুরাপ্পা। কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী হলেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.