ফাইল ফটো
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের ধর্মীয় সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস এক নেতাও। শুক্রবার তিনি, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে করোনায় আক্রান্ত হলেন। ওই নেতা তথা প্রাক্তন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তথ্য গোপন করার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। একই পরিবারের তিনজন আক্রান্ত হওয়ায় দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির গ্রামটি পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে। ফলে হয়রানির মুখে পড়েছে ওই গ্রামের ২৫০টি পরিবার। প্রসঙ্গত, আক্রান্ত নেতার স্ত্রীও কংগ্রেসের টিকিটে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের এহেন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে স্তম্ভিত ওয়াকিবহাল মহল।
মার্চ মাসের মাঝামাঝি দিল্লির নিজামুদ্দিন চত্বরে তবলিঘি জামাতের এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে ভিনদেশী-সহ কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত করেছিলেন। লকডাউন ঘোষণার পরেও বহু মানুষ সেখানে একজোট হয়ে থেকে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রদেয় তথ্য অনুযায়ী, ভারতে করোনা আক্রান্তের অন্তত ৩০ শতাংশ মানুষের এই সমাবেশের সঙ্গে যোগ রয়েছে। তথ্য বলছে, দিল্লির নিজামুদ্দিনই এখনও পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় করোনা হটস্পট। এই সমাবেশ থেকে ফেরা সকলকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। তথ্য গোপন করতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্ত সেই কাজই করেছে এই কংগ্রেস নেতার পরিবার বলে অভিযোগ।
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, ওই কংগ্রেস নেতা নিজামুদ্দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। ফিরে এসে তথ্য গোপন করেন। পুলিশ যখন এ বিষয় খোঁজখবর করছিল তখনও তিনি সঠিক তথ্য জানাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ধরে তদন্তের সময় প্রকৃত সত্য উঠে আসে। ওই কংগ্রেস নেতা দাবি করেছিলেন, তিনি হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কিন্তু সেই দাবির সত্যতা নিয়ে পুলিশের সন্দেহ রয়েছে। আপাতত ওই কংগ্রেস নেতা, তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী ও মেয়ে আক্রান্ত হয়ে দিল্লির আম্বেদকর হাসপাতালে ভরতি। তাঁদের গ্রাম দিনপুরের ২৫০টি বাড়ি সিল করেছে দিল্লি পুলিশ। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক নেতার সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.