সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৯৯ আসন। গত দুই নির্বাচনের নিরিখে হিসাবে করলে প্রত্যাশা ছাপিয়ে গিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু সার্বিকভাবে দেখতে গেলে কংগ্রেসের এই ফলাফল খারাপই। ইতিহাস বলছে, ২০২৪ সালে নিজেদের ইতিহাসের তৃতীয় সর্বনিম্ন আসন পেয়েছে হাত শিবির। বস্তুত কয়েকটি রাজ্যে কংগ্রেস ভালো লড়াই করলেও একাধিক এমন রাজ্য রয়েছে যেখানে বিজেপির সঙ্গে সম্মুখসমরে নেমে ধরাশায়ী হতে হয়েছে হাত শিবিরকে। তেমনই আট রাজ্যে হারের কারণ খুঁজতে বিশেষ কমিটি গড়লেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)।
মধ্যপ্রদেশের ২৯ আসনের সবকটিই হেরেছে কংগ্রেস (Congress)। ছত্তিশগড়ে ১১টির মধ্যে হাত শিবিরের দখলে এসেছে মাত্র ১টি। ওড়িশার ২১ আসনের মধ্যে কংগ্রেসের দখলে মাত্র একটি। এআইসিসি মনে করছে এই তিন রাজ্যেই আরও অনেক ভালো ফল করার সুযোগ ছিল। কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি। রাজধানী দিল্লিতে এবার বিজেপিকে রুখতে আপের সঙ্গে জোট করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু তাতে লাভের লাভ হয়নি। সেই ব্যর্থতার কারণও খুঁজবে কংগ্রেসের কমিটি। একই রকম কমিটি গড়া হয়েছে উত্তরাখণ্ড নিয়েও। সেরাজ্যের পাঁচ আসনের মধ্যে হাতের খাতায় শূন্য।
এর বাইরে নিজেদের দখলে থাকা তিন রাজ্যেই প্রত্যাশার তুলনায় খারাপ ফল হয়েছে হাত কংগ্রেসের। কর্নাটকে ২৮টির মধ্যে মাত্র ৯টি জিতেছেন ডিকে শিবকুমাররা। তেলেঙ্গানায় ১৭ আসনের মধ্যে কংগ্রেস জিতেছে ৮টি। বিজেপিও (BJP) সেরাজ্যে ৮ আসন জিতেছে। হিমাচলের চার আসনেই হারতে হয়েছে হাত শিবিরকে। এই তিন রাজ্যের জন্যও গড়া হচ্ছে আলাদা কমিটি।
চমকপ্রদ বিষয় হল, খারাপ ফলের এই রাজ্যগুলির তালিকায় নাম রয়েছে বাংলারও। কিন্তু বাংলার খারাপ ফলাফল খতিয়ে দেখার জন্য আলাদা করে কমিটি গড়া হয়নি। প্রদেশ কংগ্রেস সূত্রের খবর, বঙ্গে ভোট বিপর্যয়ের পর্যালোচনা করতে আগামী ২১ জুন মৌলালি যুব কেন্দ্র বৈঠক ডাকা হয়েছে। ওই বৈঠকে প্রদেশ নেতৃত্বের পাশাপাশি থাকবেন দলের প্রার্থীরা। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury) নিজেও উপস্থিত থাকবেন। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক গুলাম আহমেদ মীর সেই পর্যালোচনা বৈঠক নিয়ে রিপোর্ট দেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। তার আগে এই ধরনের কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.