সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তৃণমূল স্তরে সংগঠন নেই। দেশের সব জেলায় জেলা কমিটি গড়া দুষ্কর। একাধিক রাজ্যে সার্বিকভাবেই সংগঠনের দৈন্যদশা। লোকসভা নির্বাচনে আগের চেয়ে ভালো ফল হলেও কংগ্রেসের সাংগঠনিক দুর্বলতা প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে। যেখানে সুবিধাজনক জায়গায় থেকেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে হাত শিবিরকে। সেই সাংগঠনিক দুর্বলতা কাটানোর লড়াই হাত শিবির শুরু করতে চায় বিজেপির ‘গড়’, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাট থেকেই।
আগামী আগামী ৮-৯ এপ্রিল গুজরাটের আহমেদাবাদে বিশেষ অধিবেশন ডাকল এআইসিসি। সারা দেশ থেকে এআইসিসির সব প্রতিনিধিকে এই বিশেষ অধিবেশনে ডাকা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই বৈঠকের এজেন্ডাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। দলের সাংগঠনিক মহাসচিব কে সি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, মোদি সরকারের জনবিরোধী নীতি, সংবিধানের ওপর বিজেপির লাগাতার আক্রমণ নিয়ে আলোচনা হবে ওই বৈঠকে। পাশাপাশি এআইসিসির ভবিষ্যত কার্যসূচি ঠিক করা হবে এই অধিবেশনে।
কংগ্রেস সূত্রের খবর, গুজরাটের ওই বিশেষ অধিবেশন থেকে রাজ্য নেতাদের সংগঠন শুধরোনোর পাঠ দিতে চলেছে AICC। রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গেরা মনে করছেন, দলের নিচুতলার সংগঠন শক্তিশালী না হলে হাজার ইস্যু থাকলেও বিজেপির সঙ্গে পেরে ওঠা কঠিন। আগামী দিনে কংগ্রেস আঞ্চলিক দলগুলির বিরুদ্ধে কোন কৌশল নেয়, সেটাও দেখার।
আরও একটি বিষয় তাৎপর্যপূর্ণ। সেটা হল স্থান নির্বাচন। কংগ্রেস নরেন্দ্র মোদির নিজের রাজ্য গুজরাট থেকেই মোদির বিরুদ্ধে সংগঠন শক্তিশালী করার লড়াইটা শুরু করতে চাইছে, যাতে গোটা দেশে বার্তা দেওয়া যায় যে মোদির বিরুদ্ধে সরাসরি লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত হাত শিবির। তাছাড়া ২০২৭ সালে গুজরাটে নির্বাচন। তার আগে আহমেদাবাদে বড় সমাবেশ করে দলের স্থানীয় কর্মীদের চাঙ্গা করাটাও উদ্দেশ্য হাত শিবিরের। গুজরাটে প্রায় আড়াই দশক ধরে বিজেপির শাসন চলছে। সেখানে আগামী দিনে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতাকে কাজে লাগাতে চাইছে কংগ্রেস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.