সন্দীপ চক্রবর্তী, ভুবনেশ্বর: দুই মেয়ের দ্বন্দ্বে বিপদে পড়েছেন বাবা। সংসারের জটিলতায় খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। সেক্ষেত্রে বাবা দুই পক্ষকে বোঝানোর চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু ভোটের মুখে কোনও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষেত্রে হলে তা অবশ্যই বিড়ম্বনা। রাজনীতির কারবারে চক্ষু লজ্জার পাশাপাশি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের প্রভাব পড়ে বইকি। উৎকলভূমে ভোটের মুখে এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে কংগ্রেসের হেমানন্দ বিসওয়ালকে। শ্যাম রাখি না কুল রাখি গোত্রের সমস্যা হয়েছে তাঁর। দুই মেয়েকেই ডেকেছিলেন। কিন্তু তাতে সুরাহা হয়নি। আদরের মেয়ের ভাবনাকে কদর দিয়েও শেষ পর্যন্ত দলের আনুগত্যকে মেনে নিয়েছেন তিনি। আজীবন কংগ্রেসি শেষ জীবনে আর ঘরানার বদল করেননি। হেমানন্দ বিসওয়াল ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী হন প্রথম বার ১৯৮৯ সালে। পরে ১৯৯৯ সালে। দুই দফায় সবমিলিয়ে তিন মাস মুখ্যমন্ত্রিত্ব করেছেন।
[আরও পড়ুন: বিজেপিকে রুখতে একতাই ভরসা, দিল্লিতে জোটের পথে আপ-কংগ্রেস]
হেমানন্দের চতুর্থ কন্যা সুনীতার আচমকা সিদ্ধান্তে অস্বস্তিতে পড়েছেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। মনোনয়ন জমা পর্বে সুনীতা কংগ্রেস ছেড়ে সুন্দরগড় লোকসভায় বিজেডির প্রার্থী হন। সুন্দরগড় জেলার কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি ছিলেন তিনি। তার পরই মুষড়ে পরে জেলা কংগ্রেস। কংগ্রেসের আর তেমন সম্ভাবনা নেই জেনেই যে সুনীতার এই সিদ্ধান্ত তা নিয়ে সন্দেহ নেই। ওই লোকসভা থেকেই ২০০৯ সালে জিতেছিলেন হেমানন্দ। ১০ বছরেই পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। তবে হেমানন্দের কনিষ্ঠ কন্যা অমিতা এবার বিধানসভায় কংগ্রেসের প্রার্থী। মহিলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তিনি। এই পরিস্থিতিতে হেমানন্দের সিদ্ধান্ত, দলের প্রার্থীকে সমর্থন করবেন। প্রচারেও ঝাঁপাবেন। তবে বিরোধী দলে যোগ দেওয়া আদরের কন্যা সুনীতার বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করবেন না। সুনীতা ও অমিতাও রাজনীতির লড়াই মাঠেই ফেলে এসে বাড়ি ঢুকতে চান।
[ আরও পড়ুন: অসুস্থ সাংবাদিকের পরিচর্যায় রাহুল, জুতো হাতে প্রিয়াঙ্কা! ভাইরাল ভিডিও]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.