সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সব ‘ব্যাদে’ আছে! রামায়ণ-মহাভারতের মতো মহাকাব্যে পরমাণু বোমা থেকে শুরু করে আধুনিক চিকিৎসা, পুষ্পক রথে বিমানের ভাবনাও রয়েছে, বহুদিন ধরে এমন দাবি করে আসছে গেরুয়া শিবির। এবার সরাসরি রামায়ণ-মহাভারতকেই দেশের‘ইতিহাস’ হিসেবে তুলে ধরা হল। এই কাজ কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের নয়, বরং খোদ ভারত সরকারের। নতুন সংসদ ভবনের ‘সংবিধান হল’-এর সংবিধান গ্যালারির ফলকে একথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা দেখে হতবাক এবং ক্ষুব্ধ বিরোধীদের একাংশ।
নতুন সংসদ ভবনের (New Parliament House) সংবিধান গ্যালারিতে ভারতে গণতন্ত্রের ঐতিহ্য নিয়ে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। সেই প্রসঙ্গেই এসেছে রামায়ণ-মহাভারতের কথা। বলা হয়েছে, দুই মহাকাব্যেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচনের উদাহরণ রয়েছে। রামায়ণে আছে রামের রাজ্যাভিষেক, মহাভারতে রয়েছে কুরু ও পুরুর রাজ্যাভিষেক। উভয় ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিদের উপস্থতি এবং সম্মতি জড়িত ছিল। গণতন্ত্রের এই সরলিকরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, এরা পুরাণকে ইতিহাস এবং দর্শনকে ধর্মতত্ত্ব বলে চালাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সংবিধান গ্যালারিতে রামায়ণ, মহাভারতের পাশাপাশি রয়েছে কৌটিল্য ও তাঁর শাসনের নীতি, সপ্তম ও অষ্টম শতাব্দীর জনপদের শাসন ব্যবস্থা, বৌদ্ধ ও জনসঙ্ঘ, অশোকের শাসনরীতি। যদিও মুঘল শাসনের প্রসঙ্গ টানা হয়নি। পাশাপাশি গণতন্ত্র প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ভারতীয় শাসকরা বিভন্ন বিষয়ে নীতি নির্ধারনে জনগণের সঙ্গে আলোচনা করতেন। শাসকের ইচ্ছে মতো নয়, নিজের আস্থা অনুযায়ী চলার অধিকার ছিল তাঁদের। বিরোধীদের প্রশ্ন, মোদি কোন ঐতিহ্য মেনে শাসন করেন? তাঁর জমানায় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠছে কেন?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.