ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ডক্টর ডেথ’ নামে কুখ্যাত এক সিরিয়াল কিলারকে রবিবার রাজস্থানের দৌসা থেকে গ্রেপ্তার করল দিল্লি পুলিশ। সেখানে একটি আশ্রমে পুরোহিতের ছদ্ম পরিচয় দিয়ে আত্মগোপন করেছিল ওই খুনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, মঙ্গলবার পুলিশ খুনির গ্রেপ্তারের বিষয়টি সামনে আনে। একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তা সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ধৃত ব্যক্তি ২০২৩ সালে প্যারোলে মুক্তি পেয়েছিল। তারপর থেকেই উধাও হয়ে যায়। জানা যায়, অন্তত ৫০ জনকে খুন করে দেহ কুমির দিয়ে খাইয়েছে এই অপরাধী।
৬৭ বছর বয়সি দেবেন্দ্র শর্মা ছিল পেশায় একজন আয়ুর্বেদ চিকিৎসক। কিন্তু সেখান থেকে অপরাধীতে পরিণত হয়। একাধিক খুনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল সে। উত্তরপ্রদেশের কাশগঞ্জে কুমির-অধু্যষিত হাজারা খালে তার শিকারদের মৃতদেহ ফেলে দিয়ে লোপাট করে দেওয়ার জন্যই তার নাম শিরোনামে উঠে এসেছিল। দিল্লি, রাজস্থান এবং হরিয়ানার সাতটি পৃথক মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। গুরুগ্রামের একটি আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ডও দিয়েছে। ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ আদিত্য গৌতম পিটিআই-কে জানিয়েছেন যে, বিএএমএস ডিগ্রিধারী দেবেন্দ্র শর্মা ২০০২ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে বেশ কয়েকটি ট্যাক্সি ও ট্রাকচালকের নৃশংস হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়ে তিহার জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিল।
জানা যায়, শর্মা এবং তার সহযোগীরা চালকদের ভুয়ো ট্রিপের জন্য ডেকে আনত, তারপর তাদের খুন করে গাড়িগুলি চোরাবাজারে বিক্রি করত। প্রমাণ লোপাটে দেহগুলি ফেলা হত কুমিরে ভর্তি হাজারা খালে। তার বিরুদ্ধে অন্তত ২৭টি খুন, অপহরণ ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সালের মধ্যে বেআইনি কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গেও তার নাম জড়ায়। সে বেশ কয়েকটি রাজ্যে কর্মরত ডাক্তার এবং দালালদের সহায়তায় ১২৫টিরও বেশি অবৈধ অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কথা স্বীকার করেছিল। যদিও পুলিশের ধারণা, অন্তত ৫০টি খুন করেছে সে। ২০২৩ সালের আগস্টে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে উধাও হয়ে যায়। তারপর থেকেই তার খোঁজ চলছিল। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০২০ সালে প্যারোলে ছাড়া পেয়ে সাত মাসের জন্য উধাও হয়ে গিয়েছিল দেবেন্দ্র শর্মা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.