সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের পর এক আজব আবদার জুড়লেন পুলিশকর্মী। সেই শুনে স্তম্ভিত এক মহিলা সাংবাদিক। ভেরিফিকেশন করার জন্য ‘জল-পানি’ বাবদ টাকা নয়, জড়িয়ে ধরতে চাওয়ার আবদার জুড়লেন এক শিক্ষানবীশ সাব-ইন্সপেক্টর। শাস্তিস্বরূপ ট্রেনিং পিরিয়ডেই সাসপেন্ড হতে হল তাঁকে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে।
[ কাশ্মীরে ফের সেনা ছাউনিতে জঙ্গি হানা, শহিদ ২ জওয়ান ]
ঘটনাটি ঘটে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের সময়। ঘটনার কথা টুইটারে জানিয়েছেন ওই সাংবাদিক। তিনি লিখেছেন, আবেদনকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে ফাঁক থেকে গিয়েছে। বিশেষত যদি মহিলা আবেদনকারী হন, তবে তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা জরুরি। যে পুলিশকর্মী তাঁর পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন করতে এসেছিলেন, তিনি ওই মহিলাকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দেন।
পোস্টটি করে তিনি গাজিয়াবাদ পুলিশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং, বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে ট্যাগ করে দেন।
[ লেডিজ হস্টেলের সামনে দাঁড়িয়েই হস্তমৈথুন নিরাপত্তারক্ষীর, ভাইরাল ভিডিও ]
তবে এই একটা পোস্ট করেননি ওই সাংবাদিক। আরও দু’টি পোস্ট করে ঘটনার কথা সবাইকে জানিয়ে দেন। লেখেন, ওই পুলিশকর্মী তাঁকে জড়িয়ে ধরতে চেয়েছিলেন। তাঁর স্পর্ধা কতটা! পুলিশকর্মী তাঁকে স্পষ্ট বলেছিলেন, “আমি আপনাকে ভেরিফিকেশন করে দিয়েছি। এবার আপনি আমাকে কী দেবেন?” সাধারণত এরপর ‘জল-পানি’ বাবদ কিছু চাওয়ার অলিখিত প্রথা প্রচলিত রয়েছে। সাংবাদিক ভেবেছিলেন, ওই পুলিশকর্মী হয়তো তাই বলছেন। ঘুরিয়ে ‘ঘুষ’ চাইছেন। কিন্তু তা নয়। ভেরিফিকেশনের বদলে ওই সাংবাদিকের যা অভিজ্ঞতা হল, তা ভয়ানক। সরাসরি তাঁকে জড়িয়ে ধরার প্রস্তাব দিয়ে বসলেন ওই ট্রেনি সাব-ইন্সপেক্টর। এখানেই শেষ নয়। ওই সাংবাদিক যদি তাঁকে জড়িয়ে ধরেন, সেই আশায় আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন সেই পুলিশকর্মী।
ঘটনায় ওই পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে ইন্দিরাপুরম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পরে পুলিশের তরফ থেকে সাংবাদিকের কাছে চিঠি আসে। সেখানে বলা হয়, ঘটনার জন্য তারা দুঃখিত। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.