সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মারণ করোনা থাবা বসিয়েছে ভারতেও। রোগের ছোঁয়াচ এড়াতে স্কুল, কলেজ-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলেছে। বন্ধ হয়েছে সিনেমা হল-ক্লাব-পাবও। কিন্তু অফিস কর্মীদের কী হবে? তাঁরা কি ছুটি পাবেন? বাড়ি বসে কাজ করার সুযোগ কি মিলবে? সকলের মুখে মুখে ঘুরছে একই প্রশ্ন। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই চোখে পড়ছে এ নিয়ে নানা ঠাট্টা, বিদ্রুপ। ইতিমধ্যে বেশকিছু বহুজাতিক সংস্থা তাদের কর্মীদের Work from home-এর সুযোগ দিয়েছে। কিন্তু বাকি ছোট-বড় সংস্থার কর্মীরা কি এই সুযোগ পাবে? সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট বলছে, ভারতের ৫৪ শতাংশ সংস্থার কর্মীরা এই সুযোগ পাবেন না। কারণ সেই সমস্ত সংস্থার উপযুক্ত পরিকাঠামোই নেই।
চিনের ইউহান প্রদেশের সামুদ্রিক বাজার থেকে ছড়ানো করোনা এখন বিশ্বব্যাপী মহামারি। দেড়শোরও বেশি দেশে থাবা বসিয়েছে CVOID-19। চলছে মৃত্যু মিছিল। সংক্রমণ এড়াতে কোয়ারেন্টাইনে থাকছেন অনেকে। ফলে স্কুল-কলেজ-অফিস-কাছারি বন্ধ রাখা হচ্ছে। ভারতও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু অধিকাংশ সরকারি-বেসরকারি কর্মীদের এখনও অফিসে হাজিরা দিতে হচ্ছে। কার্যত প্রাণের ভয়ে নিয়েই তাঁরা হাজির হচ্ছে অফিসে। সংক্রমণ ছড়ালেও তাঁদের Work from Home-এর সুযোগ অনেকটাই কম বলে জানাচ্ছে বহুজাতিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা Gartner।
ওই সংস্থার করা সমীক্ষা অনুযায়ী, কর্মীদের Work from Home-এর সুবিধা দেওয়ার মত পরিকাঠামোই নেই অধিকাংশ ভারতীয় সংস্থার। একদিকে যেমন তাঁদের হাতে উন্নত ল্যাপটপ বা ডেস্কটপের অভাব রয়েছে। তেমনই দুর্বল নেটওয়ার্ক সমস্যাও একটা বড় কারণ। Gartner-এর রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে, বাড়ি থেকে কাজ করতে সাহায্য করে এমন বেশকিছু সফটওয়্যার যেমন Google Hangouts, Skype, Zoom, Cisco WebEx, GoToMeeting, Microsoft Teams, Group Chat-এর সাহা্য্য পাবেন না অন্তত দুই তৃতীয়াংশ কর্মীরা। এদিকে বিপিও বা কেপিওগুলির পক্ষেও কর্মীদের রোজকার বৈঠক করা সম্ভব হবে না। সমীক্ষা জানাচ্ছে, Work form Home-এর আরও একটি অসুবিধা রয়েছে। সংস্থার অফিসে বসে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহারের চেয়ে বাড়ির ল্যাপটপে সেই সফটওয়্যার ব্যবহার করা অনেক বেশি ব্যয়সাপেক্ষ। তাই ভারতীয় কর্মীদের পক্ষে ওয়ার্ক ফ্রম হোমের সুযোগ পাওয়া ‘মুশকিল হি নেহি, না মুমকিন হ্যায়’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.