ছবি: প্রতীকী।
দীপাঞ্জন মণ্ডল, নয়াদিল্লি: শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ আইন আরও কড়া করছে কেন্দ্র। এই ঘটনায় এ বার সর্বোচ্চ শাস্তি হতে পারে মৃত্যদণ্ড। এক্ষেত্রে পকসো আইনে (প্রোটেকশন অব চিল্ড্রেন ফ্রম সেক্সচ্যুয়াল অফেন্স অ্যাক্ট) বেশ কয়েকটি সংশোধনে শুক্রবার অনুমোদন দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পৌরোহিত্যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়া সংশোধনী পেশ করা হয়। বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ সাংবাদিকদের বলেন, পকসো আইনে একাধিক সংশোধন আনা হয়েছে। শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের শাস্তি আরও কঠোর হচ্ছে। যৌন নির্যাতন থেকে শিশুদের বাঁচাতেই আইন আরও কড়া করা হচ্ছে। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “যৌন নিগ্রহের হাত থেকে আমাদের শিশুদের রক্ষা করতে হবে। তাই যৌন নিগ্রহ থেকে শিশুদের নিরাপত্তা আইনে (পকসো) সংশোধন করা হচ্ছে। সেই সংশোধনীর প্রস্তাব কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে।”
[ বন্ধ পুরীর মন্দিরের দরজা, ভোগ রান্না হল না মহাপ্রভুর ]
একটি সরকারি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, পকসো আইনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ধারা সংশোধন করা হচ্ছে। নৃশংসতায় দোষীর মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। পাশাপাশি, চাইল্ড পর্নোগ্রাফি রুখতেও পকসো আইনে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী ২০১৫-র তুলনায় ২০১৬ সালে শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের সংখ্যা ৮২ শতাংশ বেড়েছে।
উল্লেখ্য, গত মাসেই ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, শিশু ও নারীদের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত মামলাগুলির দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দেশজুড়ে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক। কমিটির তরফে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গোটা দেশে মোট ১ হাজার ২৩ টি এই ধরনের ফাস্ট ট্র্যাক আদালত তৈরি করা হবে। এই আদালতগুলিতে নারী ও শিশুদের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত মামলার শুনানি হবে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধার্য করা হয়েছে প্রায় ৭৬৭ কোটি টাকা। প্রাথমিকভাবে ৯টি রাজ্যে মোট ৭৭৭টি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত স্থাপনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। পরবর্তীকালে ২৪৬টি আদালত তৈরি হবে অন্য রাজ্যগুলিতে। প্রকল্পের খরচ বহন করা হবে নির্ভয়া ফান্ড থেকে।
[ কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই, খতম ১ জেহাদি ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.