ছবি: সংগৃহীত
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কোলের সন্তান ও স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য মুম্বই এসেছিলেন তাঁরা। থাকছিলেন সেখানেই। বুধবার বিকেলে শিশু-সহ এলিফ্যান্টা দ্বীপে যাওয়ার লঞ্চে ওঠেন দম্পতি। চোখেমুখে মিষ্টি হাসিতে ভরে গিয়েছিল শিশুটির, খুশি ছিলেন দম্পতিও। কিন্তু মুহূর্তে সব শেষ। নৌসেনার একটি স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারায় ডুবে যায় যাত্রীবোঝাই লঞ্চটি। একের পর এক দেহ উদ্ধারের সময় পাওয়া গিয়েছে ওই দম্পতি ও শিশুটির নিথর দেহ।
নাসিকের বাসিন্দা রাকেশ আনা আহের বেশ কয়েকদিন ধরেই স্ত্রী ও ছেলের হাঁপানির চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ে এসেছিলেন। বুধবার ইন্ডিয়া গেটওয়ের কাছ থেকে লঞ্চে ওঠা ১১০ জন যাত্রীদের মধ্যে তাঁরাও ছিলেন। শেষে মর্মান্তিক পরিণতি।
মুম্বইয়ের অদূরেই আরব সাগরের বুকে এলিফ্যান্টা দ্বীপে পাহাড় কেটে তৈরি একগুচ্ছ গুহা। এটি মুম্বইয়ের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনস্থলও। অন্যান্য দিনের মতো বুধবারও যাত্রী নিয়ে সেই দ্বীপের উদ্দেশ্যে রওনা হয় একটি লঞ্চ। বুধবার বিকাল ৫টা ১৫ নাগাদ গেটওয়ে অফ ইন্ডিয়া সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে এলিফ্যান্টা গুহা যাওয়ার সময়ে দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই মুহূর্তের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা গিয়েছে, তীব্র গতিতে ছুটে আসা স্পিডবোট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারছে ‘নীলকমল’ নামের ওই লঞ্চে। এরপরই কাত হয়ে জলে ডুবে যায় ১১০ জন যাত্রী-সহ লঞ্চটি। মৃত্যু হয় ১৩ জনের। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন নৌসেনার ১জন সেনাকর্মীও।
এই ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মৃতের পরিবার পিছু ২ লক্ষ ও জখমদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। তদন্তে নিরাপত্তায় গাফিলতির বড়সড় অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যে ওই স্পিডবোট চালকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মুম্বই পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.