সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাগজে-কলমে আমদানিকৃত কয়লার খরচ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানোর অভিযোগ আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। জনস্বার্থে দায়ের মামলায় দিল্লি হাই কোর্ট মঙ্গলবার সিবিআইকে (CBI) নির্দেশ দিল এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে। একই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ডিআরআই তথা ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেনিজেন্সকেও। উল্লেখ্য, আদানি গোষ্ঠী (Adani Group) ছাড়াও এমন অভিযোগ রয়েছে এসার গ্রুপ-সহ অন্যান্য কয়েকটি সংস্থার বিরুদ্ধেও। সেই সংস্থাগুলির বিরুদ্ধেও তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী অভিযোগ? এই বিতর্কের সূত্রপাত এক ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে। ‘আদানির দ্বিগুণ দামে কয়লা আমদানির রহস্য’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আদানি গোষ্ঠী বিদেশ থেকে ৫০০ কোটি ডলার মূল্যের কয়লা আমদানি করেছে বাজারদরের তুলনায় দ্বিগুণ দামে। দাবি, আদানি গোষ্ঠী কাগজে-কলমে আমদানিকৃত কয়লার খরচ ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লার জাহাজ ছাড়ার সময় তার যা মূল্য ছিল, ভারতে সেই জাহাজ পৌঁছনোর পরে সেই কয়লার দামই দ্বিগুণ বলে দেখানো হয়। আদানিদের ‘বাড়িয়ে দেখানো’ এই কয়লার দামের ভিত্তিতেই ঠিক হয় বিদ্যুতের মাশুল। অর্থাৎ আদানি গোষ্ঠীর দুর্নীতির ফল ভুগতে হয়েছে সাধারণ নাগরিকদের। এই প্রতিবেদন প্রকাশের পর থেকেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
এই বিষয়ে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। অবশেষে মঙ্গলবার জনস্বার্থে দায়ের দুই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাই কোর্টের তরফে সিবিআই ও ডিআরআইকে নির্দেশ দেওয়া হয় তদন্তের। কেবল আদানি গোষ্ঠীই নয়, একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের নির্দেশ দিয়ে উচ্চ আদালত সিবিআইকে জানিয়েছে, যদি অভিযোগের প্রমাণ মেলে তাহলে যথাযথ পদক্ষেপ করতে। এই নির্দেশে অন্যান্য সংস্থাগুলির মতোই আদানি গোষ্ঠীর উপরেও চাপ বাড়ল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.