সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বস্তি পেলেন জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের প্রাক্তন সহ সভাপতি শেলা রশিদ। সেনা-বিরোধী টুইট করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল। মামলা রুজু হয়েছিল ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারা-সহ নানা ধারায়। অবশেষে সেই মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি দিল দিল্লির পাটিয়ালা হাউস আদালত। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অনুজ কুমার সিংহ গত ২৭ ফেব্রুয়ারি এই নির্দেশ দিয়েছেন।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিল করা হয়েছিল। সেই সময় মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বারংবার ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গিয়েছিল শেলাকে। পরে এক্স হ্যান্ডলে (তখনকার টুইটার) তাঁকে লিখতে দেখা যায়, ‘সেনা রাতে বাড়িতে ঢুকে ছেলেদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, ঘরদোর ভাঙচুর করছে, ইচ্ছাকৃত ভাবে মেঝেতে ফেলে নষ্ট করছে রেশন, ভাতের সঙ্গে তেল মিশিয়ে দিচ্ছে।’ আরেকটি পোস্টে তিনি দাবি করেন, ‘সোপিয়ানে সেনা ছাউনিতে চারজনকে ডেকে পাঠিয়ে অত্যাচার করা হয়েছে। তাঁদের আশপাশে মাইক রেখে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তাঁদের চিৎকার পুরো এলাকা শুনতে পায়। এর ফলে গোটা এলাকাতেই ভীতির সঞ্চার হয়েছে।’ এমনই নানা টুইট করেন শেলা।
শেলার অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছিল সেনা। সেই সময় থেকেই ওই দুই টুইট ঘিরে বিতর্ক ঘনায়। শেলার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর। দিল্লি পুলিশ এই প্রস্তাব রেখেছিল। যে প্রস্তাবকে সমর্থন করেছিল দিল্লি সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ ধারায় (দাঙ্গায় প্ররোচনা) মামলা রুজু হয় শেলার বিরুদ্ধে। কেবল একটি ধারাতেই নয়, দেশদ্রোহিতা, শান্তিভঙ্গের মতো নানা অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। কিন্তু এবার আদালতের অনুমতির পরে প্রত্যাহার করা হতে পারে ওই মামলা। প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হতে দেখা গিয়েছে শেলাকে। উপত্যকায় মানবাধিকার পরিস্থিতির যেভাবে উন্নতি হয়েছে সেজন্য বর্তমান প্রশাসনকে কৃতিত্ব দিতে দেখা দিয়েছিল তাঁকে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.