সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম পর্যায়ে দেশজুড়ে লকডাউনের (Lockdown) মাধ্যমে করোনা সংক্রমণ রোখার চেষ্টা করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় অফিস, ধর্মস্থান, স্কুল, কলেজের দরজা। তবে আংশিক সময়ের জন্য হলেও খোলা ছিল বাজার, দোকান। সংক্রমণের আশঙ্কাকে সঙ্গী করে পেটের দায় জিনিসপত্র বিক্রিবাটা চালিয়ে গিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তবে দোকান বাজারে আমজনতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আর তার ফলে অনেক সময় মিলেছে বাজার থেকে সংক্রমণের খবর। তামিলনাড়ুর আক্রান্তের ৩৫ শতাংশ মানুষের শরীরে নাকি জীবাণু সংক্রমণ হয়েছে বাজার থেকেই। এই সমস্ত তথ্যই খতিয়ে দেখে এবার দোকান এবং মুদিখানার মালিকদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করল কেন্দ্র।
ICMR-এর নির্দেশের কথা উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে চিঠিও পাঠানো হয়। অদৃশ্য শত্রুকে একেবারে সমূলে বিনাশ করার জন্য দোকান এবং মুদিখানার মালিকদের করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে বলেই জানানো হয়। এছাড়াও অক্সিজেন সরবরাহ এবং অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা পেতে যাতে কোনও রোগী কিংবা রোগীর পরিজনের সমস্যা না হয়, সে বিষয়টির দিকে খেয়াল রাখার কথাও উল্লেখ করা হয় ওই চিঠিতে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নজরে রয়েছে কনটেনমেন্ট জোনও। সেই এলাকাগুলি থেকে যাতে কিছুতেই সংক্রমণ ছড়াতে না পারে, সেদিকে বিশেষ নজর দেওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি শিল্পাঞ্চলে যেহেতু তুলনামূলকভাবে লোকজনের ভিড় বেশি, তাই ওই এলাকাগুলিতেও বিশেষ সতর্কতা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ভারতে সংক্রমণের নিরিখে মৃত্যুর হার স্বস্তিদায়ক। মৃত্যুর হার যাতে আরও কমানো যায়, সেদিকেও নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অদৃশ্য ভাইরাসের থাবায় অন্তঃসত্ত্বা এবং বয়স্কদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই তাঁরাও যাতে সাবধানে থাকেন, সেই বিষয়টিতে বিশেষ নজর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া বসতি, সংশোধনার এবং বৃদ্ধাশ্রমের ক্ষেত্রেও একই নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.