সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে রেখে আবারও একমঞ্চে তৃণমূল এবং সিপিএম। লোকসভা ভোটের আগে বেশ কয়েকবার একমঞ্চে দেখা গিয়েছিল সিপিএম এবং এরাজ্যের শাসকদলের নেতাদের। লোকসভায় বিজেপির বড় জয়ের পর বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জাতীয় রাজনীতি ছেড়ে অনেকাংশে স্থানীয় রাজনীতিতে মনোনিবেশ করেছেন। সে যাই হোক, কাশ্মীর ইস্যু আবারও বিরোধীদের একমঞ্চে আনতে চলেছে। আগামী বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে কাশ্মীর ইস্যুতে সরকারের ‘অগণতান্ত্রিক’ আচরণের প্রতিবাদে একটি ধরনার আয়োজন করেছে ডিএমকে। সেই ধরনামঞ্চে একসঙ্গে হাজির থাকবেন সিপিএম এবং তৃণমূল নেতারা।
কাশ্মীরে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে হয় গৃহবন্দি নয় আটক করা হয়েছে প্রথম সারির সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদেই বৃহস্পতিবার দিল্লির যন্তর মন্তরে ঘণ্টা চারেকের একটি ধরনার আয়োজন করেছে ডিএমকে। ধরনা মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন ডিএমকের সব সাংসদ। ডিএমকে সভাপতি এম কে স্টালিন নিজে মমতাকে ওই ধরনামঞ্চে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করেছেন। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বাম দলগুলিকেও। দুই শিবিরই সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। সীতারাম ইয়েচুরি নিজে বৃহস্পতিবারের অবস্থান মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় কিছু কর্মসূচি থাকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না যেতে পারলেও, তাঁর প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রাক্তন সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী। ফলে, লোকসভার পর প্রথমবার একমঞ্চে দেখা যাবে তৃণমূল ও সিপিএমের শীর্ষস্তরের দুই নেতাকে।
৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে এতদিন তৃণমূলের অবস্থান ছিল ‘ধরি মাছ না ছুঁই পানি’। বিরোধিতা করলেও অন্য ইস্যুতে বিজেপিকে যেমন তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কাশ্মীর ইস্যুতে ততটা আক্রমণাত্মক হননি তৃণমূল নেত্রী। সংসদেও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস বিলের ভোটাভুটি কৌশলে এড়িয়ে গিয়েছে শাসকদল। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমও এই ইস্যুতে তৃণমূল-সহ অন্যান্য আঞ্চলিক দলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তাই এবার লুকোছাপ না রেখে প্রকাশ্যেই ৩৭০ ধারা বিলোপের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হতে চলেছে তৃণমূল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.