সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবার ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে ড্রোন হামলার পর থেকেই ফের উত্তপ্ত জম্মু-কাশ্মীর (Jammu and Kashmir)। চারিদিকে জারি সতর্কতা। আর এই ঘটনার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই জম্মুর জনবহুল স্থান থেকে উদ্ধার হল আরও একটি বোমা। যা দেখে সন্দেহ, বড় ধরনের কোনও নাশকতার ছক ছিল জঙ্গিদের। যদিও জম্মু পুলিশের তৎপরতায় ভেস্তে গিয়েছে তাদের সেই হামলার ছক। ইতিমধ্যে বোমাটি উদ্ধারও করা হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন কাশ্মীর পুলিশের ডিজিপি দিলবাগ সিং।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দিলবাগ সিং-কে বলতে শোনা যায়, ”জম্মু এয়ারফিল্ডে দুটি বোমা বিস্ফোরণের ক্ষেত্রেই ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছিল। এর মধ্যেই জম্মু পুলিশ আরও একটি ক্রুড বোমা উদ্ধার করেছে। এর পিছনে লস্করের জঙ্গি সংগঠনের হাত রয়েছে। এটিও একটি আইইডি বোমা। কোনও জনবহুল স্থানেই ওই বোমাটি রাখার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের।” এই ঘটনা সামনে আসার পরই গোটা এলাকায় নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে আরও সেনা জওয়ান। চলছে চিরুণি তল্লাশি। কোথাও কোনও জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে কি না বা আর কোথাও জঙ্গিরা বোমা রেখেছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, ভোররাতেই জোড়া বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছে জম্মু (Jammu) বিমানবন্দরের এয়ার ফোর্স স্টেশন। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অন্য এক আশঙ্কা তৈরি করে দিয়েছে এই হামলা। এই প্রথমবার, ভারতীয় সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালাতে ব্যবহৃত হল ড্রোন (Drone Strike)। এতদিন সীমান্ত পার করে অস্ত্র পাচারে ব্যবহার হত এই যন্ত্র। এবার সরাসরি বিস্ফোরক ছুঁড়ে বিস্ফোরণ ঘটাতেও ব্যবহৃত হল এই ছোট্ট যন্ত্রটি। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে থাকা এলাকায় হামলা চালাতে তুরূপের তাস হয়ে উঠতে পারে এই ড্রোন।
জম্মুর এই সামরিক ‘বিমানঘাঁটি’ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত। ইতিপূর্বে সীমান্ত থেকে ১২ কিলোমিটার দূরেও ড্রোন মারফত অস্ত্র সরবরাহ করতে দেখা গিয়েছে। আর সেই কাজ করেছে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠনগুলি। এবার সরাসরি হামলা চালাতে ড্রোন ব্যবহার হচ্ছে। ফলে এই বিস্ফোরণের পিছনে পাক জঙ্গি সংগঠনের হাত থাকার সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তার মধ্যেই আবার উদ্ধার হল আরও একটি বোমা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.