সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিন বছর পর অবশেষে জয় পেলেন সাইরাস মিস্ত্রি। টাটা সন্সের মাথায় ফের বসতে চলেছেন তিনি। বুধবার দ্য ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপিলেট ট্রাইবুনালের (এনসিএলএটি) তরফে জানানো হয়, টাটা সন্সের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাঁকে সরিয়ে এন চন্দ্রশেখরণকে বসানোর প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বেআইনি ছিল। একইসঙ্গে তাঁকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। যদিও চার সপ্তাহ পর এই রায় কার্যকর করা হবে বলে খবর। তার আগে চাইলে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।
এ দিনের রায় সম্পর্কে সাইরাস বলেন, “এটা আমার একার জয় নয়। বরং নীতি-আর্দশ আর ছোট শেয়ারের মালিকদের জয়। মিস্ত্রি পরিবার বরাবরই ছোট শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থের দিকে নজর দেয়। এদিন সেই নীতিরই জয় হল।” ২০১২ সালের ডিসেম্বরে টাটা সন্সের এগজিকিউটিভ চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছিলেন সাপুরজি-পালনজি পরিবারের সদস্য সাইরাস মিস্ত্রি। ২০১৬ সালে তাঁকে সেই পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থার বোর্ড অব ডিরেক্টর্স। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি ছিলেন না সাইরাস।
এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এনসিএলএটির দ্বারস্থ হয় সাইরাস মিস্ত্রির সংস্থা সাইরাস ইনভেস্টমেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড এবং স্টারলিং ইনভেস্টমেন্টস কর্পোরেশন। কিন্তু সেই মামলা খারিজ করে দেয় এনসিএলএটি। এরপরই সাইরাস নিজে ওই ট্রাইবুনালের দ্বারস্থ হন। তাঁর অভিযোগ ছিল, কোম্পানি আইন মেনে তাঁকে সরানো হয়নি। দীর্ঘ শুনানির পর শেষে সাইরাসের পক্ষেই রায় দিল এনসিএলএটি। জানা গিয়েছে, টাটা সন্সে সাইরাসের পরিবারের ১৮ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। এক বছর আগেই ট্রাইবুনাল নির্দেশ ছিল, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মিস্ত্রিকে তাঁর শেয়ার বিক্রির জন্য চাপ দিতে বা বাধ্য করতে পারবে না টাটা সন্স।
সূত্রের খবর, ২০১৬ সালে টাটা সন্সের বোর্ড অব ডিরেক্টর্সদের কিছু সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিলেন সাইরাস। এমনকী সংস্থার নানা ‘বেনিয়ম’ চলছে বলেও সরব হয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ ছিল, ছোট শেয়ার হোল্ডারদের মতামতকে গুরুত্বই দেওয়া হচ্ছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.