সোমনাথ রায়: চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ’র ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে। ডিএ মামলায় (DA Case) রাজ্যকে বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী আগস্ট মাসে।
কেন্দ্রীয় হারে বর্ধিত ডিএ-র সমতুল হারে ডিএ পাওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন চলছে। দীর্ঘদিন ধরেই ডিএ মামলা সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। এর আগে ১৮ বার মামলার (DA Case) শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। শুক্রবার ফের মামলাটি ওঠে বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ। এদিন মামলার শুরুতেই বিচারপতি সঞ্জয় করোল রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি আটকে। এবার ৫০ শতাংশ ডিএ মিডিয়ে দিন।’ জবাবে রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘৫০ শতাংশ ডিএ মেটানো সম্ভব নয়। তাতে আর্থিকভাবে রাজ্যের কোমর ভেঙে যাবে।” বিচারপতি পালটা বলেন, “আপনাদেরই কর্মচারি। অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।”
রাজ্যের তরফে যুক্তি দেখানো হয়, “ডিএ সরকারি কর্মীদের সাংবিধানিক অধিকার নয়।” সুপ্রিম কোর্টের পালটা যুক্তি, “মহার্ঘ্য ভাতা সাংবিধানিক অধিকার নয় ঠিকই। কিন্তু তা বলে দিনের পর দিন টাকা না দেওয়াটাও কাজের কথা নয়।” এরপর রাজ্যের আর্থিক দিক এবং সরকারি কর্মীদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণে ভুল নেই। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের যে পরিমাণ বকেয়া মহার্ঘভাতা রয়েছে, তার মধ্যে ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে চার সপ্তাহের হবে। পরবর্তী শুনানিতে বাকিটা দেখা যাবে।” মামলার পরবর্তী শুনানি আগস্ট মাসে।
সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তে খুশি ডিএ আন্দোলনকারীরা। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘কর্মচারীদের যে মহার্ঘভাতা প্রাপ্য, সেটা রাজ্য সরকার এত দিন অস্বীকার করছিল। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে এটা স্বীকৃতি পেল যে, এটা আমাদের প্রাপ্য। আশা করি বিচার শেষে পুরো ডিএ (DA) পাব।” উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারি কর্মীরা এই মুহূর্তে ১৮ শতাংশ হারে ডিএ পান। কেন্দ্রের সঙ্গে তাঁদের ফারাক ৩৫ শতাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.